প্রতিমা তৈরি থেকে পুজোর সামগ্রী। যে কোন পুজোয় সবচেয়ে বেশি অবদান থাকে মৃৎশিল্পীদের। আর দুর্গা পুজো হলে তো কথাই নেই। ঘট, প্রদীপ, ধুনুচির মত মাটির তৈরি এই সকল সামগ্রীর প্রয়োজন তো আছেই। তাই পুজোর মরশুম শুরু হলে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততাও একলাফে অনেকটা বেড়ে যায়। আর সেই ব্যস্ততারই একটুকরো ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের পালপাড়ায়।

এই বছর অতিমারির প্রভাব একটু কমে আসায় এবং পুজোর মরশুম এসে পড়ায় পালপাড়ার মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে সেখানে তৈরি হচ্ছে মাটির প্রদীপ, ধুনুচি, ঘট। আর উৎসব একেবারে কাছে এসে পড়ায় এখন পুজোর সামগ্রী তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন পরিবারের সকলেই।

গত বছর করোনার অস্থিরতা অশান্তি এনেছিল মৃৎশিল্পীদের জীবনে। কিন্তু এই বছর সেই অস্থিরতা অনেকটাই কম। তাই মাটির তৈরি পুজোর সামগ্রী আশার আলো দেখিয়েছে নতুন করে, মৃৎশিল্পীদের মনে।

এই বছর আশার আলো জেগে ওঠায় এখন যথেষ্ট খুশি মৃৎশিল্পীরা। তাঁদের তৈরি ধুনুচি, ঘট বা প্রদীপ খোলা বাজার বা হাটে যেমন বিক্রি হয় তেমনি পাইকারি বাজারের মাধ্যমে এই সকল পণ্য পৌঁছে যায় বিহারেও।

অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার জানিয়েছেন, সরকার মৃৎশিল্পীদের সব ধরণের সাহায্য করছে। বিভিন্ন সময়ে ঋণ দেওয়া থেকে শুরু করে মেশিনও কিনে দিচ্ছে সরকার। এমনকি সবধরনের সরকারি সুবিধে পাওয়া যাবে বলেও জানালেন তিনি।

অতিমারির প্রকোপে গত বছর দুর্গা পুজো ফিকে হয়ে গিয়েছিল। এই বছর অবশ্য অনেকটাই স্বস্তিতে পুজো উদ্যোক্তারা। ফলে গত বছরের থেকে এই বছর পুজো অনেকটাই বাড়বে। আর সেই কারণে লাভের মুখ দেখা সম্ভব বলে মনে করছেন পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। তারউপর বেড়েছে অর্ডার। বেড়েছে বেচাকেনা। ফলে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা যে এখন চরমে থাকবে সে আর নতুন কী! আর সেই ছবিটাই বেশি করে ফুটে উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের পালপাড়ায়।

অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর