Trending
বাংলার বুকে আরও এক বিনিয়োগ। অঙ্কটা বিপুল। তবে শিল্পখাতে নয়। বরং ডেভেলপমেন্ট খাতে। নজরে অন্ডাল বিমানবন্দর। আর সেই অন্ডাল বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজাতে বড়ো অঙ্কের বিনিয়োগ করতে চলেছে জেএসডব্লিউ গ্রুপ।
কোলকাতা বিমানবন্দরের চাপ কিছুটা হালকা করতেই তৈরি হয়েছিল অন্ডাল বিমানবন্দর। আর এবার সেই অন্ডাল বিমান বন্দর হবে আরও আধুনিক। আরও আপগ্রেডেড। তৈরি হবে নতুন টারমিনাল। উন্নত করা হবে যাত্রী পরিষেবা। উন্নত হবে রানওয়ের মান। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাণিজ্যিক ডেভেলপমেন্টের দিকটা সুনিশ্চিত করতেই এবার অন্ডাল বিমানবন্দরের যাবতীয় দায়িত্ব নিতে চলেছ জেএসডব্লিউ গ্রুপ। কী কী তৈরির প্ল্যানিং রয়েছে এই সংস্থার?
পশ্চিম বর্ধমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই অন্ডাল বিমানবন্দর। তাই এখানে এরোট্রোপোলিস প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। এরোট্রোপোলিস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার গোটা দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ঘিরে তৈরি করা হবে এয়ারপোর্ট। অনেকটা দিল্লি এয়ারপোর্টের ধাঁচে। তৈরি হবে নতুন আইটি পার্ক। নতুন শহর। আসবে নতুন ইন্ডাস্ট্রি। যার ফলে কর্মসংস্থানের পরিসর বাড়বে। আর তাছাড়া দুর্গাপুর এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলে পর্যটনের দারুন দারুন জায়গা রয়েছে। এয়ারপোর্টের পরিকাঠাম উন্নত করা হলে সেই দিকটাতেও নজর দেওয়া যাবে। সবমিলিয়ে বাংলার কোষাগারে একটা ভালো রকমের আয় যে সুনিশ্চিত হবে, তা বলাই যায়।
অন্ডাল এবং তার আশেপাশের এলাকা উন্নত হলে সেখানে বড়ো কোন কোম্পানি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাবে। আর গোটা শহরটা যদি বিমানবন্দরের মোড়কে ঢেকে যায়- সেক্ষেত্রে অনান্য এয়ারওয়েজ আরও আকর্ষিত হবে। ফলে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। আর সেটা হলে গোটা বাংলার অর্থনৈতিক মানচিত্রে যে একাই একশো হয়ে উঠবে অন্ডাল বিমান বন্দর- তা হয়তো আশা করাই যায়।
তবে এখন কবে থেকে জেএসডব্লিউ গ্রুপ কাজ শুরু করে। এবং আরও কি কি ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট তাদের প্ল্যানিং এর মধ্যে রয়েছে এখন সেটাই দেখার। সঙ্গে থাকুন দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।