Daily
স্বপ্ন ছিল আর পাঁচ জনের মতই। সরকারী চাকরির। তাই আর্থিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বাংলায় এমএ পাস করে চাকরির চেষ্টা করেন পূর্ব বর্ধমানের হেমন্ত মল্লিক। নাহ! শেষ পর্যন্ত চাকরি তিনি পাননি। তাই পরিবারের দায়ভার কাঁধে তুলে নিতে দিনরাত এক করে টিউশন পড়াতে শুরু করেন তিনি।
তবে এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে শুধুমাত্র টিউশন পড়িয়ে কি আর সংসারের খরচ যোগানো সম্ভব? বয়স্ক মা-বাবা, স্ত্রী কন্যা নিয়ে সংসার বছর আঠাশের হেমন্তের। উপায় না দেখে অবশেষে, ঋণ নিয়ে বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পাতুন গ্রামে একটি চায়ের দোকান খোলেন তিনি। সাথে চলে সকাল থেকে রাত অবধি তার গৃহশিক্ষকতা।
সংসারের আর্থিক অনটন কাটিয়ে উঠতে একটা চাকরির দরকার ছিল হেমন্তর। তাই একটা সময় হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজে বেরিয়েছেন তিনি। পাশে পাননি কাউকেই। এমনকি রেশন ছাড়া বিভিন্ন সরকারি সাহায্য থেকেও বঞ্চিত হেমন্ত মল্লিকের পরিবার। তাই শুধু চায়ের দোকানের উপর ভিত্তি করে সংসার চালাতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে তাকে।
তবে ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়ায় এলাকায় জনপ্রিয়তা বাড়ছে হেমন্তর চা দোকানের। এলাকার মানুষজন তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। হয়ত ধীরে ধীরে রমরমা হবে হেমন্ত মল্লিকের চা ব্যবসা।
কাঞ্চন দাস
পূর্ব বর্ধমান