Trending
এখন হচ্ছে শর্ট ভিডিও-র যুগ। ইনস্টাগ্রাম বলুন কি ইউটিউব বা ফেসবুক। শর্ট ভিডিও তৈরি করেই আরও তাড়াতাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছেন শিল্পীরা। অল্প সময়ে নিজের দক্ষতা জাহির করার জন্য এমন শর্ট ভিডিও-র বিকল্প নাই। কনটেন্ট ক্রিয়েটর, গায়ক, অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী- যাদের কথাই ধরুন না কেন। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও দেখাতে পারলেই মানুষের কাছে পৌঁছতে পারার এই প্রবণতা দিন দিন বেড়েছে। ফলে ইদানিং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ শর্ট ভিডিও তৈরি করছেন যে কেউ। অবশ্য, এটাও ঠিক যে, সেই ভিডিওগুলোর কতগুলো উৎকর্ষতার পরিচয় দিচ্ছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু দিনের শেষে জনপ্রিয় হতে কে না চায় বলুন তো? যাই হোক। শর্ট ভিডিও তৈরি করার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্ল্যাটফর্ম ছাড়া কোন উপায় এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নেই। কিন্তু এবার সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন মিস্টার অম্বানি।
ভারতের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আর শুধু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ভরসা করতে হবে না। ভাবনাচিন্তায় রয়েছে শর্ট ভিডিও তৈরির একটি অ্যাপ- প্ল্যাটফর্ম। নামও আপাতত ঠিক হয়েছে ‘প্ল্যাটফর্ম’। আর এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই শর্ট ভিডিও তৈরি করতে পারবেন ক্রিয়েটররা। মনে করা হচ্ছে, যেভাবে কাজ করে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের প্ল্যাটফর্ম, ঠিক সেভাবেই কাজ করবে জিও-র ‘প্ল্যাটফর্ম’। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেই সংস্কৃতির বিস্তার আরও ব্যপকভাবে করা সম্ভব। অর্থাৎ, সব ঠিক থাকলে জিও-র প্ল্যাটফর্মকে দারুণভাবে কাজে লাগানো সম্ভব বলেই মনে করছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। আর এই খবর এমনই একটি সময়ে রিলায়েন্স আনল, যখন বিদেশি কোম্পানির ছাঁটাই হওয়ার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী।
একটা সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, অতিমারি আবহে এই শর্ট ভিডিও তৈরির হুজুগ অনেকটা বেড়েছে। তার মধ্যে যেমন ফেসবুক রিলস। গত তিন মাসে ফেসবুকে রিলস বানানোর সংখ্যাটা এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২২০ মিলিয়ন মতন। এই রিপোর্টটা খুব বেশিদিনের পুরনো নয় কিন্তু। গেল মাস মানে অক্টোবরের। বিশ্ব জুড়ে মাসে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২ বিলিয়ন মতন। তাঁদের মধ্যে ১.৫ বিলিয়ন মানুষ এখন ইউটিউব শর্টস নিয়ে বেশ মাতামাতি করেন। শর্ট ভিডিও করার সংখ্যা বেড়েছে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মধ্যেও। ইনস্টাগ্রামে রিলস বানানোর গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে পৌঁছে গিয়েছে ৬৭৫ মিলিয়নে। তার মধ্যে ভারতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩০ মিলিয়ন মতন। এবার আসা যাক জিও-র পরিসংখ্যানে। বর্তমানে জিও-র টোটাল অ্যাসেটের ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ৩৮ বিলিয়ন ডলারে। তার মধ্যে জিও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন ৪২ কোটিরও বেশি মানুষ। এবার ভেবে দেখুন, জিও যদি শর্ট ভিডিও-র প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসে, তাহলে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সেটা আলাদা একটা সুযোগ তো অবশ্যই তৈরি করে দেবে। টিকটক দেশে ব্যান হবার আগে, শর্ট ভিডিও তৈরির প্ল্যাটফর্মে কার্যত ছড়ি ঘোরাচ্ছিল। সেই সময় ভারতে ২০০ মিলিয়ন মানুষ টিকটক ব্যবহার করতেন। তখনই টিকটক বন্ধ হবার জন্য সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি ফেসবুক, ইউটিউবের মতন প্ল্যাটফর্ম। কারণ, ভারতে শর্ট ভিডিও তৈরির বাজার বেশ সরগরম রয়েছে প্রথম থেকেই। তাই জিও-র জন্য এটা হতে চলেছে এক সুবর্ণ সুযোগ। একইসঙ্গে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অর্থ রোজগারের দিক অনেকটাই নিশ্চিত করতে পারে জিও। যা জিও-র গ্রাহক সংখ্যা পক্ষান্তরে অনেকটা বাড়াতে সাহায্য করবে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ