Trending
গেম অফ থ্রোনস কি আর দেখতে পাচ্ছেন না? আর দেখা হল না হাউজ অফ দ্য ড্রাগনের মত সিরিজ? চিন্তা করবেন না। হলিউডের এই ধরণের জনপ্রিয় সিরিজ আবারও দেখতে পাবেন। যদি আপনার মোবাইলে থাকে জিও সিনেমা অ্যাপ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। এবার হলিউডের কনটেন্ট জিও সিনেমা অ্যাপে! প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা ওয়ার্নার ব্রাদার্স, এইচবিও অরিজিনালস বা ম্যাক্স অরিজিনালসের যাবতীয় কনটেন্ট দেখার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জিও সিনেমা অ্যাপ। এর ফলে আমেরিকায় যে সময়ে টেলিভিশন সিরিজের প্রিমিয়ার হবে, একই সময় দেখতে পাওয়া যাবে জিও সিনেমা অ্যাপে। কিন্তু কবে থেকে জিও সিনেমা অ্যাপে দেখা যাবে সিরিজগুলো?
আইপিএলের স্ট্রিমিং পার্টনার হচ্ছে জিও সিনেমা। আর আমরা সকলেই জানি, দেশের সর্ববৃহৎ এবং ব্যয়বহুল স্পোর্টিং প্রপার্টি হচ্ছে এই আইপিএল। আইপিএলের কারণে আজ জিও সিনেমার রমরমা। দেশে ওটিটি মার্কেটের ১০-১২% রয়েছে আজ জিও সিনেমার হাতে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে পার্টনারশিপে গেলে, জিও সিনেমা অ্যাপ দেশের সর্ববৃহৎ ভিডিও প্লেয়ার হয়ে উঠতে পারবে, ইউটিউবের পর। অনেকেই বলছেন, জিও সিনেমা অ্যাপ নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইমকে পিছনে ফেলে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের একজন সিরিয়াস প্লেয়ার হয়ে উঠতে পারবে। এখানেই জানিয়ে রাখি, বর্তমানে দেশে ওটিটি-র মার্কেট সাইজ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মতন। সেটা বিজ্ঞাপন নির্ভর ভিডিও অন ডিমান্ড হোক অথবা সাবস্ক্রিপশন বেসড ভিডিও অন ডিমান্ড হোক।
তবে জিও সিনেমাকে এই দুটো পথে এগোতে গেলে প্রথমেই দাদাগিরির মুখে পড়তে হবে। মানে, সাবস্ক্রিপশন বেসড ভিডিও অন ডিমান্ডে ভারতে সবথেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে নেটফ্লিক্স। তাদের মার্কেট শেয়ার রয়েছে ৩৫ শতাংশ মতন। অন্যদিকে হটস্টার টি-২০ টুর্নামেন্টের জন্য ভালোরকম আয়ের পথ দেখেছিল। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু এখন আইপিএলের সিজন শেষের দিকে, তাই হটস্টারের আয় এক ধাক্কায় কমতে পারে ৫০ শতাংশ মতন। একইভাবে তাদের সাবস্ক্রিপশন কমতে পারে ২৫-৩০ শতাংশ মতন। আরেকটা বিষয়, এতদিন পর্যন্ত ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কনটেন্ট দেখার সুবিধে করে দিয়েছিল ডিজনি+ হটস্টার। কিন্তু সংস্থার পক্ষ থেকে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, আর কোন এই ধরণের কনটেন্ট ডিজনি+ হটস্টারের গ্রাহকরা দেখতে পাবেন না। থাকবে না এইচবিও-র কনটেন্ট। তারপরই ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং এইচবিও-র সিরিজপ্রেমীদের মনে একটা প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছিল। এবার সব প্রশ্নের সমাধান দিতে এগিয়ে এলো খোদ জিও সিনেমা।
হাউজ অফ দ্য ড্রাগন, দ্য লাস্ট অফ আস, সাকসেশন, দ্য হোয়াইট লোটাসের মত এইচবিও-র সিরিজগুলো বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে এইচবিও-র জনপ্রিয় সিরিজ যেমন দ্য আইডল, হোয়াইট হাউজ প্লাম্বার বা দ্য রেজিমি। একইসঙ্গে ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে গেম অফ থ্রোনস, বিগ লিটল লাইজের মতন সিরিজগুলো। ম্যাক্স অরিজিনালসের কথা যদি ধরি, তাহলে উল্লেখ করতেই হবে অ্যান্ড জাস্ট লাইক দ্যাট, পিসমেকার বা ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের মত জনপ্রিয় সিরিজ। তবে শুধু সিরিজ দেখবেন আর ওয়ার্নার ব্রাদার্সের জনপ্রিয় সিনেমা দেখতে পাবেন না, সেটা কী করে হয়? মনে করা হচ্ছে, যেদিকে চুক্তি এগোচ্ছে, তাতে করে জিও সিনেমা অ্যাপে ওয়ার্নার ব্রাদার্স তাদের ফিল্ম লাইব্রেরি তৈরি করে রাখবে। তার মধ্যে অবশ্যই যেমন থাকবে হ্যারি পটার, লর্ড অফ দ্য রিংস এবং ডিসি ইউনিভার্সের মত জনপ্রিয় কিছু সিনেমা, তেমনই থাকবে বাচ্চাদের জন্য জনপ্রিয় অ্যানিমেশন যেমন ডেক্সটার’স ল্যাবরেটরি, টম অ্যান্ড জেরি কিডস। অর্থাৎ আট থেকে আশির বিনোদনের সর্ববৃহৎ ভরসা হতে চলেছে জিও সিনেমা অ্যাপ। আমার কথার সঙ্গে আপনারা কতটা একমত? জিও সিনেমা অ্যাপ আপনারা ব্যবহার করতে কতটা স্বচ্ছন্দ? কেমনই বা মনে হয় এখনকার কনটেন্ট? জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে নজর থাকুক বিজনেস প্রাইম নিউজে।
জীবন হোক অর্থবহ