Trending
বলিউডের নতুন বাদশা জিৎ? কী করছেন প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় বা দেবের মতো অভিনেতারা? আচ্ছা, ভাইজানের এলাকায় বসের দাপট- টিকবে তো? বাংলা সিনেমাকে জাতীয় স্তরে পৌঁছে দিতেই এই লড়াই? বক্স অফিসে কতটা ঝড় তুলবে জিৎর ‘মানুষ’? বলিউডে কীভাবে জায়গা করে নিচ্ছে জিৎ, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
টলিঊডের বস জিৎ, যাকে পর্দায় দেখলেই সিটি এবং উত্তেজনায় ভরে ওঠে সিনেমা হল। আর প্রথমবারের মতো হিন্দি ভাষায় সিনেমা মুক্তি দিয়ে ইতিমধ্যেই বি-টাউনে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ভাইজানের দিকে। যেখানে ভাইজানের সিনেমা মানেই চরম উত্তেজনা, হাউসফুল সবাই জানত, সেখানে ঐ একইদিনে সিনেমা রিলিজ করে বক্স অফিস কাঁপিয়েছেন তিনি। প্রমাণ করেছেন যে, তিনিই টলিউডের বস। স্বাভাবিকভাবে চেঙ্গিসের পর জিৎর কাছ থেকে এখন ভক্তদের এক্সপেক্টটেশন অনেক বেশি। আর একইরকম উত্তেজনা এবং এক্সপেক্টটেশনের সঙ্গে আজ প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ করল ‘মানুষ’।
কেরিয়ারের শুরু থেকেই কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনয় করেছেন জিৎ। সাম্প্রতিক কিছু সময় ধরে আপনারা যদি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন বাংলা ছবির ধারা পরিবর্তন হয়েছে। আর ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে তাল মিলিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেবের মতো প্রথম সারির অভিনেতারা। ব্যতিক্রমী জিৎ। কমার্শিয়াল ছবিতে তিনি ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। আর আজ সেই ছবিই প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ করছে। যদিও এর আগে দেব অভিনীত বাঘাযতীন প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ করেছিল, কিন্তু সেভাবে তা শোরগোল তৈরি করতে পারেনি। আজ জিতের মানুষ রিলিজ নিয়ে বক্স অফিসও থরহরি কম্প। তাহলে কী কমার্শিয়াল সিনেমাকে প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ করার মাধ্যমে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির কিছু অভিনেতাকে কোন মেসেজ দিতে চাইলেন টলিউডের বস?
ব্রেক দ্য মনোটনি-র আইডিয়াল উদাহরণ জিৎ। বিতর্ক এড়াতে তিনি জানিয়েছেন যে, বাংলা সিনেমাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। ওটিটি কীভাবে অডিও-ভিজ্যুয়াল ইন্ডাস্ট্রির টেস্ট বদলেছে আমরা সেটা সকলেই জানি। এক ক্লিকেই আমরা হাতের মুঠোয় পেয়েছি গোটা পৃথিবীকে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সিনেমা টেস্ট করতে পেরেছি আমরা। তাহলে এখনও মান্ধাতার আমলের চিন্তা ভাবনা থেকে কেন বেরোতে পারছেন না বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একাংশ? সত্যিই তো বাংলা সিনেমাকে জাতীয় স্তরে পৌঁছে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা কেন নয়? তবে প্রশ্ন একটাই। জিৎ, একা যখন এমন একটা প্ল্যানিং একজিকিউট করে ফেললেন তখন বাকীরা কী করছেন? কী করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব-এর মতো অভিনেতারা?
বলিউডের সিনেমার মান যখন বারবার আশাহত করছে দর্শকদের। বক্স অফিসে যখন চুটিয়ে ব্যবসা করছে কেজিএফ, আরআরআর, পুষ্পা-র মতো আঞ্চলিক সিনেমা- তখন বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমার এই প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ নিঃসন্দেহে একটা অনবদ্য সিদ্ধান্ত। এর ফলে সিনেমার সঙ্গে ডিরেকটলি অ্যাসসিয়েট মানুষজন যেমন লাইমলাইটে আসবেন তেমনই লক্ষ্মীলাভ হবে ইন্ডিরেক্ট অ্যাসোসিয়েটদেরও। সত্যি বলতে মুম্বাই বা বি-টাউনে ছবি রিলিজ হচ্ছে-এমন সিনেমায় কাজ করাটা এখনও অনেক সিনেমা অ্যাসোসিয়েটদের কাছে ড্রিম কাম ট্রু-এর মতই। কিন্তু যখন আঞ্চলিক সিনেমা জাতীয় স্তরের স্বীকৃতি পাবে- তখন এই সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েটরাও যে অনেক বড় স্বপ্ন দেখবেন, সেটা জোর দিয়ে বলাই যায়।
যদিও, আঞ্চলিক বা জাতীয় স্তরে সিনেমাকে বিভাজন করতে আপত্তি আছে টলিউডের বসের। তিনি জানিয়েছেন, একদিন এমন দিন আসবে যেদিন সিনেমা বলতে সকলে ভারতীয় সিনেমা বুঝবে। অঞ্চল হিসেবে নয়। জিৎর অভিনয় বা বিচক্ষণতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার জায়গাই নেই। এখন ভাইজানের রাজত্বে কতটা ক্রেজ ছড়াতে পারে বাংলার ছেলে, সেটাই দেখার।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ