Trending
বঙ্গবন্ধু বারণ করেছিলেন। তারপরেও নিষেধ ভেঙে কীভাবে মুক্তি পাচ্ছে জাওয়ান? বাংলাদেশে জাওয়ান মুক্তির আগের দিনই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
(১.৪০-১.৫১)
সারা বিশ্বে আজ মুক্তি পেয়েছে জাওয়ান। বাংলাদেশেও মুক্তি পেয়েছে। আর এই নিয়েই তোলপাড় বাংলাদেশ। একদিকে শাহরুখ ভক্তদের উত্তেজনা অন্যদিকে পরিচালকদের হুঁশিয়ারি। পরিচালক জানাচ্ছেন, বাংলাদেশে শুক্রবার জাওয়ান মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎই বৃহস্পতিবার তা মুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়, যা নিয়মবিরুদ্ধ।
প্রযোজক সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত বাংলাদেশে সিনেমা মুক্তি পায় সপ্তাহের প্রথম দিন, অর্থাৎ শুক্রবার। তাই বৃহস্পতিবার ছবি মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। এদিকে আবার ঈদ ছাড়া একই সপ্তাহে দুটো সিনেমা রিলিজ করানো মানে নিয়ম ভাঙা। শুক্রবার ৮ই সেপ্টেম্বর ইতিমধ্যেই মুক্তির তালিকায় আছে দুটি বাংলা সিনেমা। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে,দুটো সিনেমা লিস্টে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বাংলাদেশে নিয়মবিরুদ্ধভাবে জাওয়ান রিলিজ করতে পারে? এত কিছু শোনার পরেও শেখ হাসিনা সরকার চুপ করে বসে আছেন কেন?
(২.৪৫-৩.১১)
এদিকে মাল্টিপ্লেক্সের মালিকরা আবার অন্য সুর গাইছেন। তারা নাকি জাওয়ানের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। যেভাবে জাওয়ান ঝড়ে কাঁপছে গোটা বাংলাদেশ, তাতে এক দিনেই নাকি ১০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলতে পারে ব্যবসা। একে তো এটি বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের সিনেমা, সেই সঙ্গে এখানে রয়েছে বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় তারকাদের মিলনমেলা। প্রথমবারের মতো ভারতের কোনো সিনেমা একই দিনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। এ ঘটনায় উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে শাহরুখভক্তদের মধ্যে। সব মিলিয়ে অ্যাকশনধর্মী সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ রয়েছে তুঙ্গে। কাজেই জনপ্রিয় পরিচালকের হুঁশিয়ারি অমান্য করেই বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে জাওয়ান।
আখেরে সবাই নিজের লাভটাই দেখে। কাজেই সিনেমাহলে জায়গা পাচ্ছে না দেশের ছবি। কিন্তু এটা বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য কত বড় ক্ষতি, সেটা কী আন্দাজ করা যাচ্ছে? কিন্তু দেশের সিনেমার মান নিয়ে আবার সমালচনার ঝড় তুলেছেন সমালচকদের একাংশ। বাংলাদেশের সিনেমা নির্মাতারা নাকি দিনের পর দিন হতাশ করছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। অথচ একসময় সেদেশের সিনেমার প্রশংসা লোকের মুখে মুখে হত।
সমালচকদের একাংশ জানিয়েছেন, দুই মাস পর পর যদি বাংলাদেশের দর্শকরা ভালো মানের ছবি পান, তাহলে হয়তো দেশের মানুষের দেশের ছবি দেখার আগ্রহ জন্মাবে। সিঙ্গেল স্ক্রিন বা মাল্টিপ্লেক্সের মালিক্রাও ভালো ব্যবসা করতে পারবেন। এবং বিদেশী কোন সিনেমা কবে রিলিজ হবে, এবং তাই দিয়ে সিনেমা ব্যবসার হাল ফিরবে- এমন অপেক্ষার জন্য হাপিত্যেশও শেষ হবে।
তবে এত কিছুর পরেও, লিস্টে দেশের সিনেমা থাকা সত্ত্বেও নিয়ম ভেঙে কীভাবে জাওয়ান রিলিজ করা হল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। শুধুই ব্যবসায়িক চাহিদা মেটানই কী বাংলাদেশের হল মালিকদের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে? জনপ্রিয় পরিচালকের আন্দোলনের সুর অন্তত সেইদিকেই ইঙ্গিত করছে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ