Trending
বছরের প্রথম দিনেই জাপানজুড়ে আতঙ্ক, জারি ভয়াবহ সুনামির সতর্কতা
একদিনে ১৫৫ বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সূর্যদয়ের দেশ
৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বাড়ি অফিসে দাউ দাউ আগুন- পুরে খাক সর্বস্ব
জাপানে প্রকৃতি তাণ্ডব চললেও সুরক্ষিত নয় ভারত!
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
ফুঁসে উঠছে সমুদ্র। রাস্তা ফেটে চৌচির। বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছে মানুষজন। কম্পনের সঙ্গেই মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এসে পড়ছে সুনামি। হুহু করে জল ঢুকছে শহরে গ্রামে। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টা পার। এখনও আতঙ্কে জাপান। বরং রাতভোর সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইশিকাওয়া, নিগাটা ও তোয়ামা উপকূলে। ভূমিকম্পের আফটার শকও হয়েছে। যে কারণে প্রায় ৩৬ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ক্যাম্পে ঠাঁই হয়েছে কয়েক শো মানুষের। দাউ দাউ আগুনে পুড়ে খাক স্কুল, কলেজ, অফিস।
জাপানে এর আগেও ভয়ানক ভূমিকম্প হয়েছে। ইনফ্যাক্ট ভূমিকম্পের দেশ বলেই পরিচিত জাপান। কিন্তু রিখটার স্কেলে সেই মাত্রা ৪ কিংবা ৫-এ গিয়ে আটকে গিয়েছে। এবারে কম্পনের মাত্রা ৭.৬ ছাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, একদিনে একাধিকবার কেঁপে উঠছে জাপান। জাপানের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির আপডেট দেওয়ার পাশাপাশি আপনাদের জানিয়ে রাখা দরকার যে, জাপানের পাশাপাশি আমাদের বাংলা বা আমাদের দেশও এই একইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। কেন বা কীভাবে? বলছি, তার আগে দেখুন জাপানের সেই ভয়ানক কম্পনের ভিডিও।
জাপানের রেল স্টেশনের এই ভিডিও-র সত্যতা বিজনেস প্রাইম নিউজ যাচাই করেনি। তবে, ভারতের ঘাড়েও যে বিপদ ফুঁসছে সে বিষয়ে আজ জানাব আপনাদের। আমরা নয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই কথা জানিয়েছেন, যে জাপানের মতই ভয়ানক পরিস্থিতি হতে পারে ভারতের। কারণ জাপান যে রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত, সেটা জাভা- সুমাত্রা দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাৎ কোনোদিন এই এলাকায় ভূমিকম্প হলে বঙ্গোপসাগরে তীব্র জলছ্বাস দেখা দিতে পারে। সুনামি ধেয়ে আসতে পারে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল এমনকি এই বাংলার দিকেও। স্বাভাবিকভাবেই, জাপান যত বিধ্বস্ত হচ্ছে, আশঙ্কা ততই গভীর হচ্ছে। চাপ বাড়ছে ভারতের ওপর।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্প শুরুর আগেই জানান দিয়েছিল সে দেশে ঘুরতে আসা পরিযায়ী পাখিরা। গান- কলতান থামিয়ে সমুদ্রের জলে নিস্তব্ধ হয়ে বসেছিল তারা। কোথাও আবার আকাশের গায়ে দল বেঁধে উড়ে যাচ্ছিল তারা। যেন আসন্ন বিপদের সংকেত দিতেই এসেছিল এই পরিযায়ী পাখির দল। কার্যত তাদের আচরণ দেখেই বোঝা গেল সুনামি আসছে। দেখুন সেই ভিডিও…
এবছর বলে নয়। বছর তেরো আগে ২০১১ সালেও এই একইভাবে জাপানকে বিপদ সংকেত পৌঁছে দিয়েছিল ঝাঁক ঝাঁক পাখির দল। সেবারের প্রবল ভুমিকম্পে জাপান কার্যত সমুদ্রের তলায় চলে গিয়েছিল। আর সেবারেও সুনামির আগে পাখীদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল এই অদ্ভুত আচরন। তারা গান গাওয়া বন্ধ করে দেয়। উপকূল থেকে দূরে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ চালায়। আর তাদের মধ্যে এই অদ্ভুত আচরন দেখে আসন্ন বিপদের বিষয়ে সতর্ক হতে পারে সকলেই।
তবে, জাপান ভূমিকম্পের দেশ। সুনামির সতর্কতা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে জাপান সরকার। কিন্তু এই একইরকম ভয়ানক পরিস্থিতি যদি সত্যি সত্যিই ভারতের দিকে ধেয়ে আসে, তখন কী হবে? ভাতত সরকার কী উপকূলের মান্সুহজনকে নিরাপত্তা দিতে বা নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত? ভারত কী সেই সাংঘাতিক ভূমিকম্পের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত? হয়ত থাকছে। হাজার হোক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত মহা সম্মেলন মানে কপ ২৮ থেকে মোদী সরকার যখন ফিরেছেন, তখন তার কাছে কোন না কোন মাস্টারপ্ল্যান তো থাকার কথা। তবে এবিষয়ে সকলের সচেতন থাকাও জরুরী। একইসঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।