Trending
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ যখন ভারতীয় অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তখন ভারত নিজের অর্থনীতিকে মজবুত করতে পাশে পেল জাপানকে। সম্প্রতি দুদিনের সফরে দিল্লিতে এসেছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে আগামী ৫ বছরের জন্য দিলেন বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি। যা ভারতকে আর্থিকভাবে অনেকটাই মজবুত করবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সূত্রের খবর, ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগের অঙ্কটা প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ভারতীয় মুদ্রায় ৩.২ লক্ষ কোটি টাকা। এই বিনিয়োগ করা হবে ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যা সবদিক থেকেই সমৃদ্ধ করবে ভারতকে। ফলে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত এবং জাপানের বন্ধুত্ব নিঃসন্দেহে অন্য মাত্রা পেল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার প্রতিশ্রুতি এবং সিদ্ধান্ত ভারতকে সার্বিকভাবে তুলে ধরল এক অন্য উচ্চতায়। এই বিপুল বিনিয়োগ যেমন করা হবে নাগরিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে, তেমনই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বপ্নের প্রজেক্ট বুলেট ট্রেনের বাস্তবায়নে। একইসঙ্গে এই দুটি দেশ ভারত এবং জাপান ক্লিন এনার্জি সহ জলবায়ু মোকাবিলাতেও এই বিনিয়োগের অঙ্ক খরচ করা হবে। এখানেই শেষ নয়। জাপানের সংস্থাগুলিও যাতে ভারতে কারখানা স্থাপন করতে পারে, সেটাও হতে চলেছে এই বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
বলা বাহুল্য, জাপানের এই বিপুল বিনিয়োগ একদিকে থেকে যেমন ভারতকে আর্থিকভাবে অনেকটাই মজবুত করবে, তেমনই ভারতে বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থানের বহর। উচ্চ প্রযুক্তি, একের পর এক কারখানা- সব অর্থেই শিল্পের জোয়ার। তার একটি আঁচ ভারতবাসী ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে। কারণ গুজরাতে সুজুকি কোম্পানি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি কারখানা তৈরির জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। সেদিক থেকে দেখলে যদি এভাবেই ভারত এবং জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ মজবুত হতে শুরু করে তাহলে এশিয়ার এই দুটি দেশের সম্মিলিত কর্মকাণ্ড যে গোটা বিশ্বের কাছেই খুব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, সে কথা মেনে নেওয়াই যায়।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ