Academy
লক্ষ্য সূর্য। তাই মহাকাশে পাড়ি দিল মহাকাশ-দূরবীন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। বর্তমানে লক্ষ্য থেকে আর মাত্র সামান্য কিছু দূরেই অর্থাৎ পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিমি দূরেই রয়েছে এটি। খুব শীঘ্রই প্রবেশ করবে সূর্যের কক্ষপথে। চোখে চোখ রাখবে সূর্যের। সৌর সংসারের একেবারে ঘরের খবর দেবে পৃথিবীকে। তারাদের জন্ম-মৃত্যু থেকে শুরু করে ছায়াপথের খুঁটিনাটি। অথবা নক্ষত্রপুঞ্জের জন্ম ইতিহাস থেকে শুরু করে গ্রহের গোপন কথা, সব খবর একেবারে নিপুণভাবে পাঠাবে পৃথিবীকে।
কিন্তু, সূর্যের কক্ষপথে ঢুকে, সূর্যের চোখে চোখ রেখে, মাথা ঠাণ্ডা করে তার সংসারের খবর বের করে আনা তো আর চারটি খানি কথা নয়, তাই না! মূলত এই মহাকাশ-দূরবীনকে মুখোমুখি হতে হবে, সূর্যের ইনফ্রারেড রশ্মি বা অবলোহিত রশ্মির। আর এই অবলোহিত রশ্মি হলো আসলে তাপ রশ্মি। এই তাপ রশ্মি থেকে নিজেকে বাঁচাতে এর মধ্যে সেট করা আছে সুবিশাল সানফিল্ড। এছাড়াও কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি প্রদান করবে এর মধ্যে থাকা বিশাল বিশাল সোলার প্যানেলগুলো। মহাশূন্যে পৌঁছেই যেগুলো একের পর এক পাপড়ি মেলা শুরু করবে।
পৃথিবী-চাঁদ-সূর্যকে একই সরলরেখায় রেখে, এটি প্রদক্ষিণ করবে স্বয়ং সৌর কর্তা সূর্যকে। পৃথিবীর অন্ধকার অংশে থেকে পৃথিবীকে সামনে রেখেই চলবে সূর্য পরিক্রমা। যার ফলে দূরবিনটির উপরে মহাকর্ষ আকর্ষণ বল ও অপকেন্দ্রিক বলার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে। আর জ্বালানি খরচও অনেক কম হবে। পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে ২ নম্বর ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে এটি অবস্থান করবে। যদিও সেখানে পৌঁছতে এই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সময় লাগবে এক মাস। আর সেখানে বসেই বিগ ব্যাং বা ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির ইতিকথা তুলে ধরবে পৃথিবীর সামনে।
ব্যুরো রিপোর্ট