Daily
আম্ফানের এক বছর পর আবারও বাংলার দিকে তেড়ে আসছে সাইক্লোন ইয়াস। আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন সুন্দরবন সহ গঙ্গাসাগরের মানুষজন। কারণ, সাইক্লোন আসে, সাইক্লোন যায়। কিন্তু গঙ্গাসাগরবাসীরা পড়ে থাকেন সেই তিমিরেই।
আম্ফানের তাণ্ডবে ভেঙেছিল একাধিক নদীবাঁধ। নদীর জল ঢুকে পড়ে গ্রামের মধ্যে। এবার ইয়াসের তাণ্ডবের হাত থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষার জন্য শুরু হয়ে গেছে নদীবাঁধ সারাই এবং উঁচু করার কাজ। আম্ফানে যেসকল জায়গা ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়েছে সেই সকল এলাকায় বাঁধ সারাইয়ের কাজ চলছে পুরোদমে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এগিয়ে এসেছেন বাঁধ সারাইয়ের কাজে। সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে অকুস্থলে উপস্থিত হলেন রায়দিঘীর বিধায়ক অলোক জলদাতা।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সময় উপকূলরক্ষী বাহিনীরা উপস্থিত ছিলেন সাগরদ্বীপে। এবারেও এনডিআরএফের একটি দল বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ড্রোন ক্যামেরা, স্পিড বোট, লাইফ জ্যাকেট। মাইকিংয়ের মাধ্যমে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সমুদ্রে যাতে কেউ না যায় তার জন্য চলছে কড়া নজরদারি।
মৎস্যজীবী সহ এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে লাগাতার। কখনও বোটে করে কখনও বা গাড়ি থামিয়ে বারবার সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়াও ক্যামেরায় মুখোমুখি হয়ে সচেতন করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সামুদ্রিক মৎস্য বিভাগের অধিকর্তা জয়ন্ত প্রধান।
আম্ফানের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে টাটকা। স্মৃতির দাগ মুছে যাবার আগেই ইয়াসের বিধ্বংসী আগমন হতে চলেছে। সাইক্লোন আসার আগে আবারও হয়ত নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে এলাকাবাসীদের আশ্রয় নিতে হবে ফ্লাড সেন্টারে। আবারও ক্ষতি, আবারও দুঃসহ স্মৃতি। প্রকৃতির রোষে আবারও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেই অপেক্ষা সাগরদ্বীপের এলাকাবাসীর।
নবাব মল্লিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা