Daily

মারণ ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে গোটা দেশবাসী। এর মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে আরও দুই নতুন অসুখ- ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এবং হোয়াইট ফাঙ্গাস। ছত্রাকজনিত এই অসুখ ক্রমশই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে দেশবাসীর। ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে এবং ১০০-র বেশি আক্রান্ত হয়েছেন হোয়াইট ফাঙ্গাসে। রাজস্থান, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং উত্তরাখণ্ড এই ছত্রাকজনিত সংক্রমণকে মহামারি ঘোষণা করেছে। ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে যারা সদ্য করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন অথবা যারা এখনও করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন তাদের মধ্যে। এই দুটি ছত্রাকই প্রাণঘাতী। তাই এদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসা। কিন্তু বে-সরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসা বেশ খরচা সাপেক্ষ। সত্যি বলতে, কখনও সখনও তা সাধারণের আয়ত্তের বাইরেও চলে যায়। তাই অনেকের মনেই ঘোরাফেরা করছে একটি প্রশ্ন- হেল্থ ইনসিওরেন্স করা থাকলে এই দুই ছত্রাকের সংক্রমণজনিত চিকিৎসা করা সম্ভব কিনা? অর্থাৎ, ছত্রাকজনিত অসুখের চিকিৎসা হেল্থ ইনসিওরেন্স কভার করবে কিনা?
ইনসিওরেন্সদেখো-র মুখ্য কার্যনির্বাহী কর্তা এবং সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা অঙ্কিত আগরওয়াল দিয়েছেন তারই উত্তর। পলিসি গ্রাহকদের স্বস্তি দিয়ে জানিয়েছেন, হেল্থ ইনসিওরেন্স করা থাকলে তবে এই দুই প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসাও এই ইনসিওরেন্স কভার করবে। তার জন্য আলাদা করে কোন হেল্থ প্ল্যান গ্রাহকদের করার প্রয়োজন পড়বে না। তবে ইনসিওরেন্স ক্লেম করতে গেলে রোগীকে অন্তত ২৪ঘন্টা হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।
আগরওয়ালের দাবি, ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে হেল্থ ইনসিওরেন্স থেকে পাওয়া যাবে ১.৫ লক্ষ টাকা। এই ইনসিওরেন্স স্কিম প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে জান আরোগ্য যোজনার অন্তর্ভুক্ত। রাজস্থানেও চিরঞ্জিবী যোজনা ইনসিওরেন্স স্কিমের আওতায় থাকলে ছত্রাকের সংক্রমণের দরুণ চিকিৎসা খরচ পাওয়া যাবে হেল্থ ইনসিওরেন্স থেকে।
তবে এটাও ঠিক যে, মিউকরমাইকোসিসের সঙ্গে লড়বার জন্য কড়া ডোজের স্টেরয়েডের প্রয়োজন পড়ে। তাই, কোভিড সংক্রান্ত হেল্থ ইনসিওরেন্স করা থাকলে সেক্ষেত্রে এই চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ইনসিওরেন্স নাও করতে পারে। তবে যদি দারুণ একটি টপ-আপ প্ল্যান করা থাকে হেল্থ ইনসিওরেন্সে, তাহলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে আর কোন অসুবিধা হবে না।
ব্যুরো রিপোর্ট