Trending
মৃত্যু হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। মারা গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের সহযাত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানের। হেলিকপ্টারে থাকার সময় ঐ শেষ ভিডিও আমরা সকলেই দেখেছি। কেউ ভেবেছিল আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু ঝাঁপিয়ে পড়বে তাঁদের ঘাড়ে? পর্বতে ধাক্কা খেয়ে চপারটি ভেঙে পড়ে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে সময় এই হেলিকপ্টারটি পার্বত্য অঞ্চলের উপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় প্রবল কুয়াশা আর বৃষ্টি পড়ছিল। ফলত দৃশ্যমানতা একেবারে শূন্যে এসে ঠেকেছিল। চপারটি সেই কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারায়। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার সেই ছবি আমাদের কাছে প্রকাশ্যে এসেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটে আজারবাইজানের সীমান্তে একটি দুর্গম পার্বত্য এলাকায়। ইরানের রাজধানী থেকে ৬০০ কিমি উত্তর পশ্চিমে।
খেয়াল রাখতে হবে, ইরান এমন একটি দেশ যার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব রয়েছে, উল্টোদিকে আমেরিকা এবং ইজরায়েলের কড়া নজর। সম্প্রতি ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের যুদ্ধে প্যালেস্তাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেই দিয়েছিল ইরান। এদিকে আবার ভারতের সঙ্গে ইরানের দশ বছরের চুক্তি। ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনা করবে ভারত। পশ্চিম এশিয়ায় যখন বেশ টালমাটাল পরিস্থিতি তখন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই গ্লোবাল নিউজে পরিণত হয়েছে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে ইরানের প্রেসিডেন্ট কে হবে?
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে অন্তর্বর্তীকালীনভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট সামলাবেন প্রেসিডেন্টের পদ। যার নাম মহম্মদ মোখবর। আসলে সরকারের তিন সদস্যের কাউন্সিলের এক জন সদস্য হিসাবে ঐ দায়িত্ব পাবেন। যেখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়া থাকবেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার, বিচার বিভাগের প্রধান। তারপর মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে দেশে নতুন করে নির্বাচন করবে এই তিন কাউন্সিল সদস্য। সেখান থেকেই বোঝা যাবে, কে হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
বলা হচ্ছে, রইসির মৃত্যু ভালোরকম প্রভাব ফেলতে চলেছে পশ্চিম এশিয়ার পলিটিক্সে। আরবের দেশগুলি রইসির মৃত্যু নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীও রইসির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ