Trending
এবার আইফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে টাটা। সব ঠিক থাকলে টাটা গ্রুপের হাত ধরেই বাজারে আসবে আইফোন। এমনই ইচ্ছাপ্রকাশের কথা জানিয়েছে টাটা গ্রুপ। কিন্তু সেটা কতদিনে? আদৌ কি টাটা গ্রুপ আইফোন তৈরি করার পারমিশন পাবে? আজকের প্রতিবেদনে সেই আলোচনা সেরে নেওয়া যাক।
অ্যাপলের অন্যতম মুখ্য সাপ্লায়ার হচ্ছে উইসট্রন। টাটা গ্রুপ এই সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। কারণ টাটা গ্রুপ চাইছে, দেশে যদি অ্যাপল নিজের ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করে, অন্তত আইফোনের, তাহলে টাটা গ্রুপের হাত ধরেই তৈরি হবে প্রচুর কর্মসংস্থান। একইভাবে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি দেশের অর্থনীতির সেক্টরে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি ব্লুম্ববার্গের একটি তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই জানা গিয়েছে যে তাইওয়ানের সংস্থা উইসট্রনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চায় টাটা গ্রুপ। আর যৌথভাবে আইফোন ম্যানুফ্যাকচারিং-এর ক্ষেত্রেও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এর ফলে কি হতে পারে? চিনের উপর নির্ভরতা কমতে পারে।
বলাই বাহুল্য, টাটা গ্রুপ যদি সত্যিই আইফোন তৈরিতে উইসট্রনকে যৌথভাবে সাহায্য করে তাহলে টাটাই হবে প্রথম ভারতীয় সংস্থা। যেটুকু জানা গিয়েছে, এর ফলে টাটা গ্রুপের দৌলতে মেক ইন ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজি আরও শক্তপোক্ত হবে। ফলে তখন আর শুধু ফোন তৈরির মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখার প্রয়োজন পড়বে না। বরং বিদেশে রফতানি করার ক্ষেত্রে আরও দুর্দান্ত একটি পদক্ষেপ পড়তে পারে। একইভাবে মনে করা হচ্ছে, আইফোন যদি ভারতের বুকে তৈরিই করা হয়, তাহলে ভারত একইসঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য প্রযুক্তি সংস্থাকে ভারতের মাটিতে কাজ করার পথটা মসৃণ করে দেবে। টাটা চাইছে আইফোন ১৪-এর মাধ্যমেই অ্যাপলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং-এ নিজের জায়গা পাকা করে নিক টাটা গ্রুপ। উল্লেখ্য, ভারতে আইফোন ১২, আইফোন ১৩, আইফোন ১১ বা আইফোন এসই সহ একাধিক মোবাইল ভারতে অ্যাসেম্বল করার জন্য উৎসাহ দেখিয়েছে টাটা গ্রুপ। মূলত তিনটি সংস্থার সঙ্গে টাইআপ করেই ফোনগুলি তৈরি করা হয়। সংস্থাগুলো হল- ফক্সকন, উইসট্রন এবং পেগাট্রন। এদের মধ্যে উইসট্রনের সঙ্গেই টাটা গ্রুপ জোট বেঁধে কাজ করতে চাইছে। গেল বছর অর্থাৎ ২০২২ সালেই অ্যাপল আইফোন ১৪ সিরিজটি লঞ্চ করে। লঞ্চ করার পর থেকেই মোবাইলটির জনপ্রিয়তা বেশ ছড়িয়ে পড়ে এদিকে-ওদিকে।
উল্লেখ্য, আমরা সকলেই জানি যে, চিন-তাইওয়ান টেনশনের দরুন কিভাবে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং করতে গিয়ে হোঁচট খায় অ্যাপল। তারপর থেকেই সংস্থাটি ভারতে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং-এর ভাবনাচিন্তা করছিল। এখন যদি সত্যিই টাটা গ্রুপের প্রস্তাবে উইসট্রন অ্যাপলের ফোন ম্যানুফ্যাকচারিং করা শুরু করে তাহলে দিনের শেষে সেটা ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিকে অনেকটা পথ এগিয়ে দিতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে প্রচুর প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে, একইসঙ্গে চিন নির্ভরতা কমাবে ভারত। অর্থাৎ দিনের শেষে সবদিক থেকেই ভারতের উপর প্রযুক্তি নির্ভরতা অনেক বাড়বে, আর গোটা বিশ্বের কাছে ভারত হয়ে উঠবে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং হাব। তাহলে কবে টাটা নিজেদের মুকুটে এই নতুন পালক যুক্ত করবে? সত্যি বলতে, পুরোটাই এখনো খাতায় কলমে রয়েছে। ইমপ্লিমেন্ট হলে বিজনেস প্রাইম নিউজ সেই খবর পৌঁছে দেবে সবার কাছে, সবার আগে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ