Daily

ভবিষ্যতে তার ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টায় উঠছে সূচক। যদিও বিদ্ধস্ত বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। যা শেয়ার বাজারে লগ্নিকারীদের বিপুল লাভের সন্ধান দিচ্ছে। এই প্রথম মোট ৩৭৫ পয়েন্ট এগিয়ে ৫২,৪৭৫ অঙ্কে পৌঁছে সেনসেক্স গড়লো রেকর্ড। খুশি সর্ব স্তরের লগ্নিকারীরাই। মুখে হাসি ফুটেছে মাঝারি এবং ছোট সংস্থাগুলির, কারণ শেয়ার সূচক বাড়ছে তাদের।
ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো সত্ত্বেও শেয়ার বাজারের উত্থান ঘটেছে। বেকারত্ব বৃদ্ধির হার এমনকি মূল্যবৃদ্ধিকেও তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না দিচ্ছে না সূচক। কারখানার উৎপাদন প্রায় ১৩% কমেছে। তবে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বাজার যে হারে রিটার্ন দিয়েছে, তাতে শেয়ার লগ্নিকারীরা বেজায় সন্তুষ্ট। শেয়ার ভিত্তিক (ইকুইটি) ফান্ডে লগ্নিকরীরাও এতে খুশি। গত মে মাসে ইকুইটি ফান্ডে নিট লগ্নি এসেছে ১০,০৮৩ কোটি টাকা। এর আগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে লগ্নি এসেছিল ১১,৭২৩ কোটি।
ইকুইটি ফান্ডে লগ্নি বেড়ে ওঠার কারণ হিসেবে চোখ রাখতে হচ্ছে –
১) ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘরে সুদ কমেছে অনেকটা। ভবিষ্যতে হয়তো আরো কমতে পারে।
২) শেয়ারে অস্বাভাবিক রিটার্নের কারণে ফান্ডের ন্যাভের গ্যালপিং বৃদ্ধি।
৩) সহজে লগ্নি এবং তা ভাঙিয়ে তহবিল জোগাড়ের সুবিধা।
8) বিশেষ সুবিধা আয়করের দিক থেকে। ইকুইটি ফান্ড থেকে বছরে প্রথম ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভের উপর কোনও কর দিতে হয় না।
৫) কোভিড আবহে নানা খাতে খরচ কমেছে মানুষের, ফলে অতিরিক্ত সাশ্রয়ের একাংশ ফান্ডে প্রবাহিত হওয়া।
মিউচুয়াল ফান্ডের লগ্নিতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাতের পরেই, অর্থাৎ চতুর্থ। ফান্ড শিল্পের প্রায় ১.৭১ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ইকুইটি ফান্ডের অতি উঁচু হারে রিটার্নের পাশাপাশি গত এক বছরে ডেট ফান্ড বেশ পিছিয়ে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে বন্ড ইল্ড বেড়ে ৬.২৫% পর্যন্ত উঠে আসায় পতন হয়েছিল বেশ কিছু বন্ড ফান্ডের। অন্যদিকে শেয়ার বাজারের লাভ প্রতিফলিত হয়েছে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম এর ইকুইটি প্রকল্পে। গত এক বছরে প্রত্যেক ফান্ড ম্যানেজারই বেশ ভাল লাভের হদিশ দিয়েছেন। বাজারের এমন গতিপথ মুনাফা দেবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের গ্রাহকদেরও।
ব্যুরো রিপোর্ট