Story
বি পি এন ডেস্ক: বছরের শেষ কোয়ার্টারে বিএসই এবং এনএসইতে নিফটি যখন বেশ ভালো জায়গায়, তখন বাজার থেকে লক্ষ্মীলাভের আশা একটু বেড়েই যায়। বলা ভালো, এতোকিছুর মধ্যেও করোনার ঢেউ যখন আবারও আছড়ে পড়ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, তখন দালাল স্ট্রিটে সূচকের উত্থান বেশ চমকপ্রদ। অন্তত এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে শেয়ারে বিনিয়োগের আগে বিশেষজ্ঞরা নিবেশকদের জন্য হাজির করলেন বেশ কয়েকটি গাইডলাইন। আসুন দেখে নেওয়া যাক গাইডলাইনগুলি এক নজরেঃ
প্রথমত, আস্থা রাখুন ভারতীয় একচেটিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ভারতের বাজারে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় কোম্পানিগুলি যেমন এশিয়ান পেন্টস, পিডিলাইট, টাইটান আপনাকে ৪০% পর্যন্ত বিনিয়োগের ওপর রিটার্ন দিতে পারে। আর ফ্যাং স্টক কোম্পানিগুলি যেমন ফেসবুক, অ্যামাজন, অ্যাপেল, নেটফ্লিক্স আপনাকে দিতে পারে বিনিয়োগের ওপরে মাত্র ২০% রিটার্ন।
দ্বিতীয়ত, এড়িয়ে চলুন সরকারি তেল কোম্পানিগুলিকে
বাজার বিশেষজ্ঞরা নিবেশকদের সতর্ক করলেন এই বলে যে এড়িয়ে চলতে হবে সরকারি তেল উৎপাদক কোম্পানিগুলিকে। কেননা এই কোম্পানিগুলি কোনমতেই আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদে লাভ দিতে পারবে না। তাই নতুন নিবেশকদের জন্য মোটেই পছন্দদায়ক ক্ষেত্র নয় তেল কোম্পানিগুলি।
তৃতীয়ত, রিলায়েন্স হতে পারে অন্যতম পছন্দের জায়গা
যতগুলি শক্তিক্ষেত্র আছে তার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। বাজার বিশেষজ্ঞরা পরামর্শের তালিকায় রিলায়েন্সকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলছেন, শক্তিক্ষেত্রে রিলায়েন্স ক্রমশ নিজেকে লক থেকে আনলক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাই দীর্ঘ মেয়াদে এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ কম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
চতুর্থত, এড়িয়ে চলতে হবে সরকারি ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, এসবিআই বাদে
চতুর্থ কোয়ার্টারে এসে বছরের শেষ দিকে বাজার বিশেষজ্ঞরা নিবেশকদের সচেতন করলেন এই বলে যে, দুমদাম করে যেকোন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করলে সম্পদ নাও বাড়তে পারে। তবে এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যতিক্রম হিসেবে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং এসবিআইতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবুজ ঝাণ্ডা দেখিয়েছেন।
পঞ্চমত, সিটি গ্যাস অন্যতম আকর্ষণীয় ক্ষেত্র
এনার্জি সেক্টরে বিভিন্ন কোম্পানি থাকলেও সিটি গ্যাসের বাজারদখল ও কোম্পানি পরিচালনা ক্রমশ এই কোম্পানিকে ভারতীয় বাজারে সলিড ডেসটিনেশন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই আইজিএল বা গুজরাত গ্যাস এক্ষেত্রে অন্যতম নজরকাড়া ক্ষেত্র। যা বিনিয়োগকারীদের সম্পদ অচিরেই বৃদ্ধি করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
শেয়ার বাজারের ঊর্ধ্বগতি প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। উল্টোদিকে পতনের হার যৎসামান্য। তবে বাজার স্থিতিশীল না হলেও বাজারে অস্থিরতার ছাপও কিন্তু খুব বেশি ফুটে উঠছে না। বিশেষত অতিমারি পর্বে শেয়ার বাজারের এই চিত্র দেশের আর্থিক প্রগতির কথাই প্রকারান্তরে ঘোষণা করছে।