Daily

বয়স মাত্র উনিশ, কিন্তু এই বয়সেই পাকা মাথার অপরাধী হয়ে উঠেছে কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে ধৃত মোহাম্মদ আসিফ। এমনকি তার সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের যোগাযোগও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী অফিসারেরা। ফলে যত তদন্ত এগোচ্ছে, ততই যেন আসিফকে নিয়ে একের পর এক চমকের মুখোমুখি হচ্ছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় এক বছর সে নিখোঁজ ছিল। পরিবার জানতে পারে আসিফকে অপহরণ করা হয়েছে। পরিবারের কাছে মুক্তিপণও চাওয়া হয়। পরে অবশ্য পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন এই কু-কীর্তি আসিফেরই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আসিফ ঐ এক বছর কোথায় ছিল, কার সঙ্গে তার যোগাযোগ গড়ে ওঠে? সেই সময়েই কি ওর মধ্যে অপরাধপ্রবণতার বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়?
এক বছর পর আসিফ প্রত্যাবর্তন করলে তখন সে অন্যরূপে পরিবারের কাছে ধরা দেয়। সেই তখন পরিবারের প্রধান সদস্যের মত আচরণ করতে থাকে। তার কথার অবাধ্য হলেই মারধর, চেঁচামেচি বা শাসানি কোনকিছুই বাদ রাখত না উনিশ বছরের আসিফ। তবে তদন্তকারীদের ধারণা আসিফ যে একবছর বেপাত্তা হয়েছিল সেইসময়েই তার সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। ফলে সাইবার অপরাধের প্রবণতা চেপে বসে ওর মধ্যে। ইতিমধ্যেই আসিফের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করে তার ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক এই সবের মধ্যে ঢুঁ মেরেছেন গোয়েন্দারা। সেখানে এমন কিছু ওয়েবসাইটের হদিশ গোয়েন্দারা পেয়েছেন যা ভারতে নিষিদ্ধ। এমনকি এই যুবক যে সেক্স চ্যাট করত তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। কেনইবা আসিফ তার বাড়ির পাশে আরেকটি বাড়ি বানাল? কিই বা উদ্দ্যেশ্য ছিল? এমনই বহু প্রশ্নের উত্তর পেতে গোয়েন্দারা তদন্তের আরও গভীরে পৌঁছবার চেষ্টা করেছেন।
ব্যুরো রিপোর্ট