Market

পাকিস্তানে প্রত্যেকটি পণ্য আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে বর্তমানে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে ইমরান খানের সরকারকে। করোনা পরিস্থিতিতে সেই দেশে হু হু করে চড়ছে ওষুধের দাম। একইসঙ্গে আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি এবং কার্পাস। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে চিনির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকায়। অন্যদিকে, রমজান মাসে ময়দার দাম বেড়ে হয়েছে ৯৬ টাকা। কিন্তু আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ কী?
বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা এবং অনুচ্ছেদ ৩৫ বিলোপ করে ভারত সরকার। তারপর থেকেই পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রদের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে পাকিস্তান ভারত থেকে মূলত আমদানি করে চিনি, কার্পাস এবং ওষুধ। ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় রীতিমত সমস্যায় পড়তে হয় পাকিস্তানকে। তার জেরেই পাকিস্তানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন ওষুধ, চিনি ইত্যাদির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২%। ইমরান সরকারের এই হঠকারি সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে পাকিস্তানকেই। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীরা এই ভুলটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করলেও ইমরান সরকার অর্থমন্ত্রীদের কোন কথাই শুনতে চায়নি। বরং কোপের মুখে পড়ে চারবার অর্থমন্ত্রী বদল হয়েছে। যদিও বর্তমানে অর্থমন্ত্রী শওকত তারিনও ঠিক একই কথা জানিয়েছেন।
ব্যুরো রিপোর্ট