Market
অতিমারি আবহের মধ্যেই নতুন সমস্যা। আশঙ্কায় মার্কিন অর্থনীতি। আমেরিকার কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স পৌঁছে গিয়েছে ৬.২-তে। জ্বালানি থেকে ভোগ্যপণ্য- সর্বত্র মূল্যবৃদ্ধি এতটাই বাড়ছে যে সাধারণ মানুষের কপালে জমছে চিন্তার ভাঁজ। তার সঙ্গে প্রমাদ গুনছে বিশ্ব অর্থনীতিও। কিন্তু কিভাবে এই সমস্যার সূত্রপাত?
আর্থিক বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার দাপট কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে মার্কিন অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে উঠেপড়ে লাগে বাইডেন প্রশাসন। তার জন্য ব্যপক আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করে দেয়। সমস্যা তৈরি হয় তারপরেই। গোটা আমেরিকা জুড়ে বাড়তে শুরু করে চাহিদা। এদিকে জোগানের ঘাটতি থেকেই যায়। ফলে তৈরি হয় চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বড় ফারাক। তার জেরেই সব জিনিসের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে।
আর্থিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকার এই মূল্যবৃদ্ধি হতে চলেছে দীর্ঘমেয়াদী। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ভারতীয় অর্থনীতিতে। এমনিতেই আমেরিকায় সুদ বেড়ে গেলে লগ্নিকারীরা শেয়ার বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া শুরু করবে। ইতিমধ্যে তিনদিন ধরে পতন দেখছে ভারতের শেয়ার বাজার। জ্বালানি এবং খাদ্যপণ্যের দামে সামান্য স্বস্তি পাওয়া গেলেও তাতে কতটা ভারতীয় নাগরিকরা সুরাহার পথ খুঁজে পাবেন? ফলে মূল্যবৃদ্ধি যে ভারতেও হতে পারে, তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
ব্যুরো রিপোর্ট