Daily

একদিকে গ্লোবালাইজেশন এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর দৌলতে বিশ্ব জুড়ে আবহাওয়ায় এক ভয়ানক রকমের টালমাটাল পরিস্থিতি। এদিকে গাছ কাটার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। আর সমীক্ষা বলছে একদিকে যখন গাছ কাটার প্রবণতা বাড়ছে, তেমনই অন্যদিকে শহুরে মানুষদের মধ্যে গাছ লাগানোর হিড়িকও তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইন্ডোর প্ল্যান্টের চাহিদা এবং বিক্রি অতিমারি পরিস্থিতিতে বেড়েছে বেশ ভালোই। জানাচ্ছেন, শহর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার নার্সারি মালিকরা। তাঁদের অনেকেই বলছেন, গাছ বিক্রিতে মোটেও ভাটা পড়েনি। নানা প্রজাতির পাম গাছ, পাতাবাহার, অ্যালোভেরার বিক্রি অনেকটাই বেশি হচ্ছে। প্রতিটি গাছের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।
উল্লেখ্য, আজ পরিবেশ দিবস। তার জন্য কয়েকদিন আগে থেকেই বিভিন্ন নার্সারি থেকে মানুষরা তাঁদের প্রিয় মানুষের জন্য গাছ উপহার দিচ্ছেন। আর গাছের থেকে ভালো বন্ধু কেই বা আছে?
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মনের চালিকাশক্তি হিসেবে গাছের ভূমিকা অনেক। তাই ঘরে ঘরে গাছ লাগানোকে খুব একটা অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন না তাঁরা, যখন করোনা পরিস্থিতির সময় মানুষ দিনের পর দিন চার দেয়ালে বন্দিই থেকে গেছে। ইন্ডোর প্ল্যান্ট গুলির চাহিদা বেড়েছে কারণ এগুলো যেমন ঘরের শোভা বাড়াচ্ছে, তেমনই ঘরের দূষিত বায়ু শোষণ করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন ছড়িয়ে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঘরে ঘরে গাছের চাহিদা বাড়লেও গোটা বিশ্ব জুড়ে বৃক্ষ নিধন পরিবেশপ্রেমীদের কাছে ক্রমশই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে হু হু করে, অতিরিক্ত ঝড়, বৃষ্টি, সাইক্লোন এই সবই যেন প্রকৃতির সতর্ক বার্তা। তাই শুধু ঘরে ঘরে গাছ লাগানোই চিরস্থায়ী সমাধান নয়। সমাধান তখনই হবে, যখন বৃক্ষ নিধন কম তো হবে বটেই, তার সঙ্গে আরও বৃক্ষের চারা রোপন করা হবে। পৃথিবীতে সবুজ না থাকলে মানবজাতির কপালে রয়েছে অশেষ দুর্ভোগ।
ব্যুরো রিপোর্ট