Market

যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৬-এ। তারপর কেটে গিয়েছে ষোলটা বছর। এর মধ্যে বহু উত্থানপতন, বিভিন্ন সমস্যার সাক্ষী থাকতে হয়েছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ এয়ারলাইন সংস্থা ইন্ডিগোকে। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে ইন্ডিগোর উড়ান ব্যপক বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে নেয়। অবশেষে ষোল বছর পর বড়সড় সাফল্য জুটল এই বিমান সংস্থার ভাগ্যে। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম এয়ারলাইন্সের স্বীকৃতি পেল ইন্ডিগো। যাত্রীসংখ্যার নিরিখেই ইন্ডিগোর এই আন্তর্জাতিক সম্মান।
একে অতিমারির ধাক্কা। তারপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত জুড়েছে জ্বালানির একচেটিয়া চোখরাঙানি। সাধারণত একটি যাত্রীবাহী বিমানে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আড়াই হাজার লিটার জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে। ফলে একটি বিমান আকাশে উড়লে যে পরিমাণ তেল খরচ হয়, তা জ্বালানির একচেটিয়া মূল্যবৃদ্ধির জন্য বেশ আশঙ্কাজনক। তাই ইন্ডিগোর ভাগ্যেও দেখা দেয় সেই সমস্যা। সংস্থাটির মধ্যে যাত্রীসংখ্যা হারানোর আশঙ্কাও তৈরি হয়। এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য আর্জিও জানানো হয়। কিন্তু জ্বালানির দাম কমুক বা না কমুক, নিজেদের সাফল্য ধরে রাখতে সমর্থ হল ইন্ডিগো। গত মাসে ইন্ডিগো যাত্রী সফর করিয়েছিল ২.২ মিলিয়ন মতন। যা এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। রেকর্ড পরিমাণ যাত্রীদের নিয়ে এই উড়ানের জন্য ইন্ডিগোর বার্ষিক বৃদ্ধি হয়েছে ৪১.৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গুড়গাঁওতে রয়েছে এই বিমান সংস্থার হেডকোয়ার্টার। এবং এর প্রাইমারি হাব রয়েছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। তবে ইন্ডিগোর কাছে এই সম্মান প্রথম নয়। কারণ সংস্থাটি ইতিমধ্যেই এশিয়ার লো কস্ট ক্যারিয়ার হিসেবে যেমন স্বীকৃতি পেয়েছে তেমনি যাত্রী সংখ্যার নিরিখে আগেই পৌঁছে গিয়েছে এক অন্য উচ্চতায়। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ইন্ডিগো যাত্রী উড়ান করায় প্রায় সাড়ে ছ কোটি মতন। ৯৬টি গন্তব্যে প্রতিদিন ইন্ডিগোর দেড় হাজার বিমান ওঠানামা করে। যার মধ্যে ৭১টি ডোমেস্টিক এবং ২৫টি ইন্টারন্যাশনাল। দিল্লি এই সংস্থার মূল বেস হলেও ইন্ডিগোর অন্যান্য বেসগুলি রয়েছে কলকাতা, মুম্বই, আহমেদাবাদ, কোচি, জয়পুর, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে। ২০১১ সালে ইন্ডিগো তার প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা চালু করে নিউ দিল্লি এবং দুবাইয়ের মধ্যে। ইন্ডিগো নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে শুরু করে অনেকদিন আগে থেকেই। নিরন্তর যাত্রীবাহি উড়ান এবং ইন্ডিগোর ভরসা ক্রমশই সংস্থাকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরিচিতি। এবার এলো স্বীকৃতিও। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম বিমান পরিবহন সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পেল ইন্ডিগো। আপনার কি মনে হয়? ইন্ডিগো তার এই সাফল্য কি ধরে রাখতে পারবে? ভবিষ্যতে আরও সামনের দিকে এগিয়ে জেতে পারবে ইন্ডিগো?
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ