Daily

করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন সংস্থার দুরাবস্থার কারণে চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই। সেই অতিমারি কালে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ট্রেন্ড দেখা দিয়েছিল বিপুল রূপে। বেশ কিছু সংস্থা তাদের কর্মচারীদের চাকরি থেকে সরিয়ে দিলেও, কিছু সংস্থা তাদের কর্মচারীদের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মাধ্যমে। এক কথায় বলতে গেলে বিপুল হারে বেড়েছিল ভারতে বেকারত্বের হার। সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর পরও ফের সেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে গোটা দেশ।
বছরের প্রথম দিকটা কিছুটা সামাল দিতে পারলেও গত মাসে ফের বেড়েছে দেশে বেকারত্বের হার। গত আগস্ট এ ৮.৩ শতাংশ বেকারত্বের হার বেড়ে এই বছরের সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। এমনটাই জানা গেল সিএমআইই এর তথ্য। কেবল আগস্টের বেকারত্বের হার বৃদ্ধির এই ধাক্কায় সমগ্র বেকারত্বের হার অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার উল্টোদিকে দেশের কর্মসংস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। বুধবার প্রকাশিত পিরিয়ডিক লেভার ফোর্স সার্ভিস রিপোর্ট অনুসারে, বেকারত্বের হার জুন ত্রৈমাসিকে ৭.৬ শতাংশ নেমে এসেছে যেটা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১২.৬ শতাংশ।
সিএমআইই এর তথ্য অনুযায়ী, সামগ্রিক বেকারত্বের হার গড়ে ৭ শতাংশ হলেও যুবকদের বেকারত্বের হার ৩৪ শতাংশেরও বেশি। যা সত্যিই অনেকটা বেশি। বেকারত্বের ভিত্তিতে রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রথমে রয়েছে হরিয়ানা। সেখানে বেকারত্বের হার ৩৭.৩ শতাংশ। সিএমআইই এর তথ্য অনুযায়ী বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম ছত্তিশগড়ে ০.৪%। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ৭.৪ শতাংশ।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ