Trending

বাজারে বেড়িয়েছেন, অথচ মানিব্যাগটা নিতে বেমালুম ভুলে গেছেন। বাজার ভর্তি থলেটা হাতে নিয়ে পয়সা মেটানোর সময়, সে কি এম্ব্যারেসিং অবস্থা! নিশ্চয়ই রিলেট করতে পারছেন? চিন্তা নেই! গো ক্যাশলেস, গো কার্ডলেস। গো ক্যাশলেস! এটিএম কার্ডের প্রমশন পারপস এমন স্লোগান আগেই উঠেছিল। এবার সেই একই সুরেই নতুন সংজজন, গো কার্ডলেস। ভারতের প্রথম বারের ইউপিআই এটিএম নিয়ে আসল হিটাচি।
মুম্বাইতে চলছিল ফিনটেক ফেস্ট। আর সেই ফিনটেক ফেস্টেই প্রথমবারের মত ইউপিআই এটিএম লঞ্চ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে হিটাচি। ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় এই এটিএম আনা হয়েছে। জাস্ট স্ক্যান ইট অ্যান্ড গেট ইট। এটিএম-ঢুকে পকেট হাতিয়ে কার্ড খুঁজতে হবে না আর। ডিরেক্ট মোবাইল ফোনটা বের করে স্ক্যান করলেই হাতে পাবেন নগদ। এবার শুধু কিউআর কোড স্ক্যান করে পয়সা খসবে না। পয়সা আসবেও। দেশে প্রথমবারের মত কিআরকোড স্ক্যান করে টাকা তোলার এই ব্যবস্থা রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে হ্যাঁ! সর্বোচ্চ 10,000 টাকাই কিন্তু লিমিট। আর ইউপিআই অ্যাপ মানে গুগল পে, ফোনপে বা পেটিএম ইত্যাদি আপ ফোনে ইন্সটল্ড থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইউপিআই এটিএম বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, এই মুহূর্তে সারাদেশে মোট ৭০০ টা ইউপিআই এটিএম বসানো হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে দেশ এগোচ্ছে। ডিজিটালাইজেশনকে আস্তে আস্তে অ্যাড্পট করছে ভারত। আর এই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ডন হচ্ছে ইউপিআই। বিগত কয়েক বছরে রেকর্ড তৈরি করেছে ডিজিটাল ট্রাঞ্জাকশন। এত স্মুদ গেটওয়ে, আর টাইম কঞ্জিউমিং বলে আজকের প্রজন্মের ওয়ান অফ দ্য ফেভ্রিট পেমেন্ট অপশন হচ্ছে এই ইউপিআই। সুতরাং আগামী দিনে এর ক্রেজ যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাছাড়া এর ফলে প্রতারনাো কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে?
কার্ডের মাধ্যমে প্রতারনা, নতুন বিষয় নয়। কার্ড চুরি, পিন কোডে নজরদারি আর অবশেষে সেই ইনফরমেশ কাজে লাগিয়ে জালিয়াতি- এই খবর মাঝেমধ্যেই পাওয়া জেট। আর কার্ড না থাকলে সেই ঝামেলাও থাকবে না। আর প্রতারনার ঝুঁকিও কমে আসবে। কিন্তু দেশের অনেক মানুষ যে এখনও ইউপিআই-এর সঙ্গে অপরিচিত। রাস্তা-ঘাটে বিপদে আপদে তাদের ভরসা কিন্তু ঐ ডেবিট কার্ডই। তাদের প্রতারনার বিষয়টা কী সরকার বা এই ধরণের ফিনটেক সংস্থা দেখছে? সমস্যা যদি নির্মূল করাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তো গোরা থেকে নির্মূল করাই ভালো। ওপর ওপর নির্মূল করার ফল কি লং টার্মে থাকবে? আপনাদের কী মনে হয়, জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।