Trending
আছা যদি রেলপথে মাত্র ১৫ মিনিটে চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়া যায় তাহলে কেমন হবে ভেবে দেখেছেন? আছা যদি ঘণ্টায় ১০০ নয় ১০০০ কিমি বেগে কোন ট্রেন চলে তাহলে দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় কতটা পরিবর্তন হবে ভাবতে পারছেন? না – না – কোনো সাইন্স ফিকশন মুভি না, বাস্তবে হাইপারলুপ ট্রাকের মাধ্যেম এই গতিবেগে ট্রেন চলাচল করা সম্ভব। আর ভারত এই প্রযুক্তি প্রতিস্থাপনে একটি ধাপ ইতিমধ্যেই অতিক্রম করে গেছে। আজকের প্রতিবেদন এই বিষয়ের উপরে।
হাই স্পিড বন্দে ভারত, হাইড্রোজেনের পর এবার ভারতীয় রেল নিয়ে আসছে হাইপারলুপ টেস্ট ট্রাক। এটি আইআইটি মাদ্রাজের স্টার্টআপ টিউটিআর হাইপারলুপের একটি যৌথ প্রকল্প। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোশাল মিডিয়ায় এই হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাকের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর সেই ভিডিও সামনে আসতেই জল্পনা তুঙ্গে।
ভিডিওএর Description-এ তিনি লিখেছেন ‘ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক’। এই বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে রাখি, আইআইটি মাদ্রাজের ডিসকভারি ক্যাম্পাসে রয়েছে ৪১০ মিটারের লম্বা এই টেস্ট ট্র্যাক। এই টেস্ট ট্র্যাকে একটি ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে। তবে এখানেই থেমে থাকবে না গতিবেগ। এরপর এই ট্রাকে ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার গতিতে হাইপারলুপ পরীক্ষা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আসুন এবার আপনাদের বুঝিয়ে বলি হাইপারলুপ বিষয়টা ঠিক কি ? হাইপারলুপ হলো একটি হাই-স্পিড ট্রেন, যা একটি টিউবের মধ্যে ভ্যাকুয়াম প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলে। আর শুনলে অবাক হবেন, এই হাইপারলুপ ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। একদম ঠিক শুনছেন ঘণ্টায় এক হাজার কিলোমিটার। আর এই কারণেই হাইপারলুপ প্রযুক্তি নিয়ে বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ভারয়।এই প্রকল্পটি এলএন্ডটি কনস্ট্রাকশন, আর্সেলরমিত্তাল, আর্সেলরমিত্তাল ডিজাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার এবং হিন্দালকো ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি প্রকল্প।
ভবিষ্যতে যদি এই ভারতের মাটিতে এই ট্রেন চালু হয় সেক্ষেত্রে বদলে দেবে দেশের পুরো পরিবহন কাঠামো। যার উপর ভিত্তি করে প্রসারিত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য, কারণ ব্যাবসা প্রসারে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রই অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনাদের কি মতামত কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না, সঙ্গে Sunscibe করে সঙ্গে থাকুন Business Prime news.
জীবন হোক অর্থবহ