Daily
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বেসামাল ভারতে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।
হাসপাতালে হাসপাতালে বাড়ছে স্বজনহারাদের মৃত্যুমিছিল। কলকাতা থেকে কেরালা, বেলেঘাটা থেকে বেঙ্গালুরু একটা বেডের জন্য হাহাকারের চিত্রটা এখন মজবুত ভারতের কমন চিত্র।
প্রতিদিনই অক্সিজেনের জন্য রোগী কিংবা পরিজনদের চোখের জল গা সওয়া হয়ে গিয়েছে দেশবাসীর। এর মধ্যেই দৈনিক সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যুতে রেকর্ড গড়ল ভারত।
ল্যানসেট, নেচারের পর ভারতকে সমালোচনার কাঠগড়ায় তুলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। ভারতে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের পিছনে রয়েছে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রবল উদাসীনতা।
ল্যানসেট, নেচারের পর হু’এর তোপের মুখে পড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা নিয়ে।
করোনার প্রথম ঢেউ সামলানোর পরে কিভাবে বেসামাল হতে দিলেন ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। কী করছিলেন ভারত সরকার এতদিন? সময় তো হাতে ছিল। কেন দেশের হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হল না, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
জিএসটি, নোটবন্দি, এনআরসি, সিএএ নিয়ে বেসামাল হয়ে তবু বিরোধীদের জবাব দিতে খড়কুটোর মত ‘মোদীও যুক্তি’ হাজির করেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু এইবার? কোন যুক্তিতেই যে বাঁধ মানছে না ভারতে করোনার সংক্রমণ। বিরোধীরা অবশ্য বলতে শুরু করেছেন, মোদীর ম্যাজিকের বেলুন ছিদ্র হয়ে গিয়েছে। তাই আর বেলুন ফোলাতে পারছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
হাসপাতালে হাসপাতালে বেড নেই। নেই অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সরবরাহ। নেই দাহ কিংবা কবর দেওয়ার মত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এই গঙ্গা কিংবা যমুনা দিয়ে ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ। এ কেমন মজবুত ভারত মিস্টার প্রধানমন্ত্রী? আপনার ১০ বছরের রাজত্বকালে কোন জায়গায় নিয়ে গেলেন ভারতকে? বিরোধী সহ দেশের জনগণ তো জানতে চাইবেই।
ব্যুরো রিপোর্ট