Trending
ব্যাঙ্গালোর। ইন্ডিয়ার বৃহত্তম আইটি হাব। ভারতের ইকোনমিক গ্রোথের ক্ষেত্রে যার কন্ট্রিবিউশন প্রায় সিংহভাগ বলা চলে। শহরের ১৭ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে ওআরআর এরিয়া। যা ডিরেক্টলি বা ইনডিরেক্টলি ইন্ডিয়ার ইকোনমিক গ্রোথকে বুস্ট আপ করে। গত সপ্তাহ থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যার শিকার দক্ষিণ ভারতের এই শহর। এখনও অবধি প্রায় ৮২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ব্যাঙ্গালোরে। গোটা শহর তো বটেই, বিশেষ করে আউটার রিং রোড এরিয়ার অবস্থা শোচনীয়। জলমগ্ন শহরে ব্যাপক ট্র্যাফিক। ফলে সময়ে অফিস পৌঁছতে পারছেন না কর্মীরা। ফলে ভারতের ইকোনমিক ক্রাইসিস কোথায় গিয়ে থেমেছে জানেন?
লাগাতার বৃষ্টি আর ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির জেরে জলমগ্ন ব্যাঙ্গালোর শহরের আউটার রিং রোড। যার ফলে ইতিমধ্যেই আইটি কোম্পানিগুলোর ক্ষতির অঙ্কটা গিয়ে পৌঁছেছে প্রায় ২৮ মিলিয়ন ডলারে। মানে দুই সপ্তাহ বৃষ্টির জেরে ক্ষতি হয়েছে ২৫৫ কোটি। প্রসঙ্গত, ওআরআর-এর আইটি সংস্থাগুলোর প্রতিবছরের আয় প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার। যা ব্যাঙ্গালোরের মোট আইটি আয়ের ৩২%। এই অঞ্চলের কোম্পানিগুলোর উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতাকে প্রভাবিত করছে শহরের এই এই দুর্বল পরিকাঠামো। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ট্র্যাফিকে আটকে কর্মীরা। ঝুঁকির মুখে তাদের জীবন।
শহরের এই পরিস্থিতি যে ব্যাঙ্গালোরের আর্থিক বৃদ্ধিকে থামিয়ে দিতে পারে, সেই সম্ভাবনাও প্রবল। কারণ দুর্বল এই পরিস্থিতির জেরে প্রায় ৩০ শতাংশ কর্মী অফিসে আসতে পারছেন না। পরিকাঠামোগত এই দুর্বলতা স্মানে আসতেই কমছে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ। যা ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে তো বটেই, বিশ্বব্যাপীও একটা বড়সড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, পরিস্থিতির উন্নতি চায় ওআরআর কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন।
বিষয়টি নজরে আনার জন্য ব্যাঙ্গালোরের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে আউটার রিং রোড কোম্পানিজ অ্যাসসিয়েশন। এই অঞ্চলের যেসমস্ত রাস্তা কোম্পানির কর্মীরা নিয়মিত ব্যবহার করেন সেগুলোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ওআরআর কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন। আর সরকার যদি ঢিমেতালে কাজ করে, সেক্ষেত্রে কোম্পানি বিকল্প কোন জায়গা খুঁজে নিতে পারে বলেও জানিয়েছে ওআরআর কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ