Market
বর্তমানে বেশ ভালোরকম মূল্যস্ফীতির জোয়ার সামলাচ্ছে আমেরিকাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। প্রায় ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে সেই দেশগুলির মূল্যস্ফীতির হার। স্বাভাবিকভাবেই মূল্যস্ফীতির জেরে টান পড়েছে সেই দেশের চাহিদাতেও। আর এসবের বেশ চড়া প্রভাব পড়েছে ভারতের রপ্তানি ব্যবস্থায়। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ ১ শতাংশ কমেছে এই বছর আগস্টে। শতাংশে যা খুবই নগণ্য মনে হলেও, অর্থের অঙ্কে তার পরিমাণ কত জানেন? ৩৩ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
ভারত বিভিন্ন দেশে যা রপ্তানি করে তার মধ্যে ২৫ শতাংশই হল প্রকৌশল পণ্য। আগস্ট মাসে এই প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। রপ্তানি কমার দৌড়ে পিছিয়ে নেই গয়না ও দামি পাথরের রপ্তানিও। ৪ শতাংশ কমেছে এই রপ্তানি। ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাকেশ শাহ এই বিষয়ে বলেছেন, প্রায় ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য বিদেশে গিয়েছিল ২০২১-২২ সালে, এবারের লক্ষ্য ১২ হাজার ৭০০ কোটি ছিল। কিন্তু তা অর্জন হওয়ার আর সম্ভবনা দেখছেন না তিনি।
বিশ্ববাজারে চালের ৪২ শতাংশ সরবরাহ করে ভারত। স্বাভাবিকের তুলনায় এই বছর খরিফ মরসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ভারতের ধান উৎপাদনকারী প্রধান রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশে ধানের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানি কমিয়ে নিজেদের মজুত বাড়াতে সরকার চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় সরকারের চাল রপ্তানি সংক্রান্ত নয়া পদক্ষেপে চালের রপ্তানি ১.৬ থেকে ১.৭ কোটি টন পর্যন্ত নামতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে কেন্দ্রের পাল্টা দাবি যে ভারতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং দরিদ্রদের সস্তায় খাদ্যশস্য জোগান দেওয়াই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য।
এখানেই শেষ নয়। শিল্প মহলের একাংশ বলছেন, রপ্তানি কমলে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে শিল্পোৎপাদনেও। কারণ এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিগুলো চাহিদা না থাকায় নিজেদের উৎপাদন হ্রাস করবে। এর প্রভাবে অনেক মানুষের উপার্জনে প্রভাব পড়তে পারে, অনেকে কাজও হারাতে পারেন। অর্থাৎ বেকারত্বের হার আরও বাড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে।
বিজনেজ প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ