Trending
দাদা কি কভার ড্রাইভ মারলেন? নাকি খুচরো রান তুলে দিল্লি যাওয়ার রাস্তাটা আরও একটু মসৃণ করে রাখলেন? বিজেপিশাসিত ত্রিপুরা রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সম্মতি জানালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর ঠিক তারপরেই চলছে রাজনৈতিক প্রশ্নবানের রমরমা বাজার।
ক্যাপ্টেন গাঙ্গুলিকে নিয়ে কথা হবে, আর রাজনৈতিক তরজা চলবে না, এটা অসম্ভব! বিশেষত যখন খোদ মহারাজেরই রাজনীতিতে আগ্রহ রয়েছে ষোলআনা। তিনবছর আগে বিসিসিআই বোর্ড সভাপতি পদে সৌরভ গাঙ্গুলির নিয়োগে রাজনীতির কতটা ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১-এ নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই নাকি তিনি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছিলেন, এমনটাই মনে করেন অনেকে। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বেরিয়ে আসার সময়ও রাজনৈতিক চর্চা কম হয়নি সৌরভ প্রসঙ্গে। আর এবার ফের নতুন করে চর্চায় মহারাজ।
ত্রিপুরার পর্যটন দপ্তরের শুভেচ্ছাদূত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতের ট্যুরিজম মানচিত্রে ত্রিপুরার অবস্থান জ্বলজ্বল করলেও, পর্যটনের দিক থেকে এখনও বাংলাকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি ত্রিপুরা। এবার সেই ত্রিপুরা রাজ্যকে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ক্যাপ্টেন গাঙ্গুলি। ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরাকে ট্যুরিজম ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এমন একজনের মুখ প্রয়োজন, যাকে গোটা বিশ্ব চেনে এক নামে। আর সেক্ষেত্রে সৌরভ গাঙ্গুলি ছাড়া এই ভরসা আর কাকেই বা করা যায়?
কিন্তু বাংলার ছেলের ওপর ভরসা করতে পারল না খোদ বাংলা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিঃ গাঙ্গুলির প্রেসিডেন্ট পদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে যারা বাংলার ছেলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারাও এখন নীরব। বাংলা থেকেই ব্রাত্য বাংলার ছেলে? যদিও অনেকেই বলছেন যে এইভাবে রাজনৈতিক খোঁচা দেওয়াটা অর্থহীন। কারণ, ত্রিপুরার পর্যটনে সৌরভ গাঙ্গুলিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করার সিদ্ধান্ত নেহাতই ত্রিপুরার ট্যুরিজম ব্র্যান্ডকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে।
রাজ্যের মোট জিডিপি-র ১২.৬ শতাংশ কন্ট্রিবিউট করে এই ট্যুরিজম। আর ইন্ডিয়ান ইকোনমিতে ৪ শতাংশ কন্ট্রিবিউট করে এই পর্যটন শিল্প। যে শিল্প বাংলার যুবকদের জন্য এত বড় একটা কর্মসংস্থানের জায়গা, বাংলার ইকোনমিক গ্রোথের একটা স্ট্রং পয়েন্ট, সেটা নিয়ে এতটা উদাসিন কেন বাংলার সরকার? যার এত হিউজ ফ্যান ফলোইং, এতটা অভিজ্ঞ একজন মানুষ, আর সবচেয়ে বড় কথা, যে বাংলার মানুষের কাছে আদর্শ, একটা ইমোশন ইনফ্যাক্ট জাস্ট কয়েকটা পজিটিভ মেসেজের মাধ্যমে যিনি বাংলার ট্যুরিজম বিজনেসকে একটা ড্রাস্টিক বুম করাতে পারতেন, তাকে কেন এতটা কম গুরুত্ব দিল বাংলা? কেন? আপনাদের কী মনে হয়, জানান কমেন্ট বক্সে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ