Daily
ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক। দেশের সপ্তম বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। যার ব্যবসায়িক লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকা। আজ ১১৬ বছর পেরিয়েও, নিজেদের কনসিসটেন্সি ধরে রেখেছে শক্ত হাতে। আর যে কর্পোরেট সংস্থা এত বছর ধরে নিপুণভাবে এত বড় কর্মকাণ্ড সামলে আসছে, তার সামাজিক কোন দায়িত্ববোধ থাকবে না, তা কি করে হয়? আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতেই গত ৬ অগাস্ট নদীয়া জেলার কল্যাণী শহরের কল্যাণীয়া কমিউনিটি হলে এক সিএসআর অ্যাক্তিভিটি ক্যাম্পের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক জোনাল অফিস।
এদিন প্রখ্যাত সমাজসেবী সংগঠন কল্যাণীয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যাক্তিভিটি ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের জোনাল হেড মিঃ পুরুষোত্তম কুমার সিনহা। স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সুবিশাল কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি সকলের সাথে ব্যাঙ্কের সুসম্পর্ক তৈরির কথাও বলেন তিনি। ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় যে এখন রিস্ক অনেকটাই কম, এবং সেটা ঘরে বসেই সম্ভব, সেই বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা দিলেন তিনি।
সাধারণ মানুষদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি এদিন এলাকার দুঃস্থ এবং মেধাবী বাচ্চাদের পড়াশুনো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের তরফে। শুধু তাই নয়। নদীয়া জেলার প্রায় ১০,৯০০ এসএইচজি গ্রুপ গঠনেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক। আজ এই ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় মহিলারা। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়েছেন তারা।
দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কল্যাণী শহরের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা বাচ্চাদের নিয়ে এবং বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বয়স্ক মানুষদের চিকিৎসা ও অন্যান্য সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত রয়েছে কল্যাণীয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। আর এই কর্মযজ্ঞে তারা পাশে পেয়েছেন বিভিন্ন স্বহৃদয় ব্যাক্তি এবং ইন্সটিটিউশনকে। এখন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ককে তাদের পাশে পেয়ে অনেকটাই খুশি তারা।
দেশের অন্যতম প্রথম সারির ব্যাঙ্ক হিসেবে তো বটেই। সাধারণ নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর এইধরণের ক্যাম্পের মাধ্যমে আগামীদিনেও যে গ্রাহক সচেতনতা বাড়বে এবং ব্যাঙ্কের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে, তা বলাই যায়।
সুব্রত সরকার
নদীয়া