Daily

যুদ্ধ দলিল সবই আসবে প্রকাশ্যে। যুদ্ধের অভিযান সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র, চিঠি বা ই-মেল প্রকাশ্যে আনার কথা বলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। গত শনিবার দিল্লির সাউথ ব্লকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে সকল যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই সকল যুদ্ধ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র চিঠি ইমেল সমস্তটাই প্রকাশ করবে দিল্লি। এবং যে সকল যুদ্ধের বয়স ২৫ বছরের বেশি সেই সকল যুদ্ধের নথিপত্র আর্কাইভ বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখে সেগুলোকে সংরক্ষণ করা হবে ন্যাশনাল আর্কাইভস-এ।
মনে করা হচ্ছে, বাষট্টির ভারত- চিন যুদ্ধের নথিপত্র ছাড়া বাকি সমস্ত অভিযানের ফাইলস, কাগজ সবই সংরক্ষণে রাখা হবে। যার মধ্যে অবশ্যই থাকবে একাত্তরের যুদ্ধ।
৬২’র যুদ্ধে চীনের কাছে ভারতের শোচনীয় পরাজয় ভারতের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। এই কারণেই হয়ত এই যুদ্ধ সংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে আজও রয়েছে এক চোরা অস্বস্তি। আর একাত্তরের যুদ্ধে ভারতের গৌরবময় জয় ভারতের ইতিহাসে ততটাই উপরের সারিতে তুলে দিয়েছে। যে কারণে একাত্তরের যুদ্ধ সংক্রান্ত কোনরকম নথি বা পাইলস প্রকাশ করতে সমস্যা তৈরী হবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এইসকল ফাইলস প্রকাশ পেলে নতুন আর কী কী তথ্য জানা সম্ভব হবে?
১। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ যুদ্ধ জয়ের জন্য ঠিক কী কী প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এবং কী কি নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন?
২। মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে অস্ত্র সাহায্যের পেছনে কী কী ধরনের পরিকল্পনা ছিল।
৩। বঙ্গোপসাগরে পাকিস্তানি সাবমেরিন পিএনএস গাজীর ধ্বংস হওয়ার পেছনে আসল রহস্য কী?
৪। পাকিস্তানি সেনা কে আত্মসমর্পণ করানোর পেছনে ভারতের আরেকজন জেনারেল জেএফ আর জেকবের ভূমিকা ছিল অপূরণীয়। কিন্তু সেই নিয়েও রয়েছে বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক। তাহলে আসল সত্যিটা কি?
উল্লেখ্য এমন বহু প্রশ্ন এক একটি যুদ্ধের পেছনে তৈরি হয়। যুদ্ধ থেমে যায় কিন্তু প্রশ্নের উত্তর রয়ে যায় অমীমাংসিত। মনে করা হচ্ছে এই সকল নথিপত্র প্রকাশ পেলে যুদ্ধ সংক্রান্ত বহু বিতর্ক এবং প্রশ্নের এক স্থায়ী সমাধান হবে।
ব্যুরো রিপোর্ট