Trending
ট্রিলিয়নের মাপকাঠিতে হংকং বাদ। এবার শেয়ার বাজারে বিশ্বের চতুর্থ শক্তি ভারত। ভারতে নথিভুক্ত স্টকের দাম এখন ৪.৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার। এবার থেকে শেয়ার বাজারে চলবে ভারতের দাদাগিরি।
গত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় শেয়ার বাজারে বুল রান চলছিল। সেনসেক্স এবং নিফটি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। লক্ষ্মীলাভ হচ্ছিল বিনিয়োগকারীদের। এবার বাজারমূল্যের ভিত্তিতেও হংকং-কে ছাপিয়ে গেল ভারত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই সময়টা বিনিয়োগের জন্য কতটা উপযুক্ত? ভারতের এই নতুন মাইলফলক অর্জনের পর কী প্রতিক্রিয়া মিলেছে হংকং-এর তরফে? কী বলছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা? জানব আজকের ভিডিও-তে।
অর্থনীতির লড়াইতে চীনের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে ভারত। আপনারা যারা শেয়ার বাজারের খোঁজখবর রাখেন, তারা নিশ্চয়ই এটা জানেন যে, গত ডিসেম্বর থেকে ঝড়ের গতিতে এগচ্ছিল ভারতের শেয়ার বাজার। ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত ভারত। ব্লুমবারগের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ারের মূল্য সোমবার পর্যন্ত ৪.৩৩ ট্রিলিয়নে শেষ হয়েছে। যেখানে হংকং-এর ঝুলিতে পৌঁছেছে ৪.২৯ ট্রিলিয়ন। আর এখানে হংকং-কে কুপোকাত করে শেয়ার বাজারে দাদাগিরি দেখাচ্ছে ভারত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হংকং থেকে কেন মুখ ফেরাচ্ছেন তারা?
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনা কোম্পানিগুলির শেয়ারমূল্য পড়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। যার মধ্যে প্রথম হল কোভিড ঠেকাতে বেজিংয়ের বিভ্রান্তিকর নীতি। দ্বিতীয়ত, গত কয়েক বছরে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরে বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে চিন। দিন দিন সেই সংঘাতের পরিমাণ বেড়েছে। আরভ এমন পরিস্থিতিতে চিন থেকে ব্যবসা গোটাতে শুরু করেছে মার্কিন কোম্পানিগুলি।
অন্যদিকে, কীভাবে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মনপসন্দ হল ভারত? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে রিটেল ইনভেস্টরদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ফলে দেশে কর্পোরেটদের শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও ভারতে বাড়তে থাকা জনসংখ্যা, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ এবং সর্বোপরি পলটিক্যাল সেট-আপের জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে ৬৬ শতাংশ বিনিয়োগকারী ভারতে বিনিয়োগের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৭৬ শতাংশে পৌঁছেছে। যা এই বাজারের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে গত বছর ৭১ শতাংশ বিনিয়োগকারী চিনে বিনিয়োগে আস্থা দেখিয়েছিলেন, কিন্তু এই বছরে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ শতাংশে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত যে নিঃসন্দেহে একটা ব্রাইট স্পট, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আগামীদিনে সেই বিনিয়োগের সংখ্যা যে আরও বাড়বে, সে আশা করাই যায়। তবে এখানেই একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, ভারত এবং হংকং-এর মধ্যে পার্থক্যটা কিন্তু উনিশ-বিশের। আর হংকং বলুন বা চিন- সামান্য এই পার্থক্যটা মিটিয়ে নেওয়ার যারপর নাই চেষ্টা করবে তারা। ২০২১ সালের দিকে শেয়ার বাজারে একচেটিয়া রাজত্ব ছিল হংকং-এর। এত সহজে তারা সেই জৌলুষ ফিকে হতে দেবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
তবে, চিন ছেড়ে এখন অনেক বিনিয়োগকারীরই ড্রিম স্পট ভারত। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন। আর বাস্তবে তেমনটা হলে আখেরে ভারতেরই লাভ। ফুলেফেঁপে উত্যহ্নে ভারতের শেয়ার বাজার।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।