Daily
রাজ্যে রাজ্যে জোর তৎপরতায় চলছে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া। তবু বাগে আনা যাচ্ছে না সংক্রমণের গ্রাফ। ঝড়ের গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এবার সংখ্যাটা যে জায়গায় পৌঁছল তারই রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর প্রশাসনিক মহলে আবারও বাড়ল উদ্বেগ। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ভারত পৌঁছল শীর্ষে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৬,৭৮৯। মৃত্যুর হার এখনও অবশ্য আক্রান্তের নিরিখে কম- ৬৮৫।
সংক্রমণের বেপরোয়া প্রভাবের কারণে শোনা যাচ্ছিল আবারও হয়ত দেশ জুড়ে জারি হতে পারে লকডাউন। কিন্তু মোদী ক্যাবিনেট স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। এই মুহূর্তে আর লকডাউন নয়। কারণ প্রাথমিক ধাক্কার পর অর্থনীতির কাঠামো এমনিই নড়বড়ে। তাকে মজবুত করাই এখন কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য। আবারও যদি লকডাউন ঘোষণা করা হয় তাহলে একেবারেই ভেঙে পড়বে আর্থিক বৃদ্ধি। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় লকডাউন বা নাইট কার্ফুর ওপরেই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা ভয়াবহ। বাদ নেই দিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে নাইট কার্ফু তো চলছেই। এবার সংক্রমণ ঠেকাতে একই পথে হাঁটল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। উত্তরপ্রদেশের কানপুর, প্রয়াগরাজ, লখনউ, বারাণসীতে বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয়েছে নাইট কার্ফু। শুক্রবার সন্ধ্যে ৭টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশে। বাংলার পরিস্থিতি এতটা খারাপ না হলেও চিন্তায় প্রশাসন। এখানেও গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৮৩ জন। মারা গেছেন ৭ জন। যদিও পরিস্থিতি কোন দিকে এগোতে পারে, এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ বাংলায় এখন ভোটের হাওয়া। তাই লাগামছাড়া পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তারজন্য বারবার সাবধান করছে চিকিৎসকমহল।
এদিকে সংক্রমণের ভয়াবহতায় আবারও ধাক্কা খেতে পারে শিল্প। সম্পূর্ণ লকডাউন না হলেও যেভাবে একের পর এক রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি হচ্ছে তার প্রভাব পড়তে পারে ব্যবসা-বাণিজ্যে। ফলে আবারও হোঁচট খেতে পারে অর্থনীতি। এমনই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টমহল। যদিও অর্থনীতিকে সবদিক থেকে চাঙ্গা রাখতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার।।
ব্যুরো রিপোর্ট