Daily

করোনা সংক্রমিত দেশগুলির তালিকায় এখন শীর্ষে আমেরিকা। ভারত দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ভারতের পরিস্থিতি এখনও আমেরিকার মতো অতোটা খারাপ হয়নি। যদিও ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ছবি তুলে ধরা হলেও ইতিবাচক ছবিটা কিন্তু এখনও অনেকেই ভুলে যাচ্ছে।
ভারতে প্রতিদিন যত লক্ষ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন তার প্রায় তিন গুণেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন হোম আইসোলেশন কিংবা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
আমেরিকার মতো বিভিন্ন উন্নত দুনিয়ায় দেশগুলিতে যখন করোনার মৃত্যুহার অনেক অনেক বেশি সেখানে ভারতের মৃত্যুহার এখনো ১ শতাংশের নিচে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বেডের অভাব থাকলেও এ কথা কিন্তু ভুললে চলবে না, প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তৈরি হচ্ছে একের পর এক নতুন কোভিড হাসপাতাল। তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, তৈরি হয়েছে টেলিমেডিসিন কনসালটেশন। তৈরি হয়েছে স্বেচ্ছাসেবীদের একাধিক সংগঠন যারা নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন করোনা আক্রান্তদের।
ভারতের অন্যতম জনবহুল রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে করনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজারের ঘর ছুঁলেও সুস্থতার হার কিন্তু ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।
আর মৃত্যুর হার এখনো রাজ্যে অনেক কম।
করোনার সঙ্গে অসম যুদ্ধে লড়তে হলে শুধু নেতিবাচক দিক থেকে দেখলে হবে না দেখতে হবে হাজার হাজার চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের হার না মানা লড়াইয়ের জিদটাকেও।
বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশরা ভারতের পাশে এসে দাঁড়ালেও ভারতের আভ্যন্তরীণ চিকিৎসা পদ্ধতি বা সরঞ্জামে সংকট তৈরি হয়েছে এ কথা ভাবার কোন জায়গায় নেই। বরং প্রতিবেশীরা প্রতিবেশীসুলভ দৃষ্টি নিয়ে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আর ভারত সৌজন্যবশত সেই সাহায্যকে হাসি মুখে স্বীকার করে নিয়েছে।
অযথা আতঙ্ক বা প্যানিক এর কোন জায়গা নেই এখানে। সব করোনা আক্রান্তেরই অক্সিজেন লাগবে কিংবা ভেন্টিলেশন লাগবে এরও কোন মানে নেই। তবে এই লড়াইয়ে যে মানবিকতা জিতবে। জিতবে হার না মানার অদম্য সাহস সে কথা বলাই যায়।
ব্যুরো রিপোর্ট