Daily

চুল রপ্তানিতে এগিয়ে ভারত, বেড়েছে আয়। চুল জমিয়ে তা বিক্রি, ভারতীয় মহিলাদের একটা বেশ বড় রকমের নেশা। এছাড়াও ভারতের মন্দিরগুলোতে দান করা চুল বিক্রি হয় বেশ চড়া দামে। দেশের বাণিজ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা অতিমারীর মধ্যেও বিশ্ব বাজারে উন্নতমানের চুল রপ্তানি বেশ বেড়েছে ভারতের তরফে।
কাঁচা চুল প্রসেসিং করে রপ্তানি করা হয় বিদেশে। বাইরের দেশ গুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতের থেকে চুল আমদানি করে চীন। চীনের আমদানিকৃত চুলের মধ্যে প্রায় ৬০%ই যায় ভারত থেকে। এরপর ভারতীয়দের চুল আর চীনের চুলের সংমিশ্রনে তৈরি হয় বেশ উন্নত ধরণের চুল যার উইগ হিসেবে বিশ্ববাজারে চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উইগের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে চুল রপ্তানি করে এই চুল বিক্রির খাতে দেশের আয় বেড়েছে প্রায় ৪৫%, বলছে রিপোর্ট। আয় হয়েছে প্রায় দু’হাজার ৭৩৫ কোটি টাকারও বেশি। একইসাথে ভারতীয় শুল্ক বিভাগ চুল চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তা বাজেয়াপ্ত করেছে। গত অর্থবছরে দেশের রাজকোষে যা বাড়তি লাভ এনে দিয়েছে।
ভারত থেকে মানুষের চুল রপ্তানির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থের অধিকাংশই আসে ভারতীয় মহিলাদের থেকে। কারণ মহিলাদের চুলের চাহিদা এবং দাম দুইই বেশি। তবে কাটা চুলের থেকেও বেশি দাম হল ‘রেমি’ চুলের। কারণ রেমি চুলের থেকে উন্নত মানের উইগ বানানো সহজ। মহামারীর থাবা দমাতে পারেনি ভারতের চুল রপ্তানিকে। প্রাথমিক বাধা থাকলেও, তা সামলে উঠে এই খাতে ভারতের আয় বেড়েছে লক্ষণীয় ভাবে।
ব্যুরো রিপোর্ট