Daily

বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমাতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা, ভারত, চিন, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়ার মত দেশগুলি। আর এই পথে হাঁটতে ইতিমধ্যেই ৫ কোটি ব্যারেল তেল ছেড়েছে আমেরিকা। আমেরিকার পর এবার এগোচ্ছে ভারত। বিশ্ববাজারে ৫০ লক্ষ ব্যারেল তেল ছাড়তে চলেছে ভারত।
চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ছে তেলের। আর এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে ওপেক গোষ্ঠীর কাছে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও কোনো সুরাহা হয়নি। কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৬ ডলারে পৌঁছেছিল। পরে তা ৭৯ ডলার হলেও ফের দাম বেড়ে ৮২ ডলারে পৌঁছয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবার যদি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলি তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমদানিকারক দেশগুলির এই সিদ্ধান্ত আদৌ কোনো সুরাহা দেবে কি না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে হয়তো ভারত তথা চিনকে চড়া দামেই তেল কিনতে হতে পারে। প্রসঙ্গত, ভারতের ম্যাঙ্গালোর, বিশাখাপত্তনোম ও পাদুরে প্রায় ৫৩ লক্ষ টন তেলের সঞ্চয় রয়েছে।
করোনা আবহে চাহিদা তলানিতে ঠেকায় উৎপাদন কমিয়েছিল ওপেক। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, উৎপাদন বাড়ায়নি তারা। আর যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি চিন্তা ভাঁজ ফেলেছে আমদানিকারক দেশগুলিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই নিজস্ব রিসার্ভ থেকে তেল ছাড়বে ভারত।
ব্যুরো রিপোর্ট