Market
ভারত, ৭৮০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলেছে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতি। ২০৩০ সালের মধ্যেই ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে ভারতের ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রি। এমনটাই বলছে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম রেডসিয়ার স্ট্রাটেজি কন্সাল্টেন্টসের একটি রিপোর্ট। ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রিতে নিজস্ব ফ্লেভর অ্যাড করে এটিকে আর্থ-সামাজিক বৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে গড়ে তুলতে একেবারে প্রস্তুত ডিজিটাল ইন্ডিয়া। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নতুন বছরেও ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রি ভালোরকম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
থোড় বড়ি খাড়া জীবনে মানুষ এখন শুধু বিকল্প খোঁজে। পরিসংখ্যান দেখলে একেবারে স্পষ্ট বোঝা যাবে যে ২০১৫ সালেও যেখানে মাত্র ৩০০ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতেন, সেখানে আজ ২০২২-এ দাঁড়িয়ে সেই সংখ্যাটা পৌঁছেছে ৭৮০ মিলিয়নে। আর ২০২৩ সালের মধ্যে সেটা ৮০০ মিলিয়নের গণ্ডি যে প্যাঁর করে দেবে, সে বিষয়ে একেবারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। বেড়েছে ই-কমার্সের দৌরাত্ম্য। ভারতের গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। এ বিষয়ে অবশ্য রিলায়েন্স জিও-র ভূমিকা অনস্বীকার্য। ঠিক এই কারণেই চীনের পরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেট হিসেবে গড়ে উঠেছে ভারত। গত দু বছরের অতিমারি আবহ এই ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রির উত্থানের পিছনে বাড়তি ফুয়েল জুগিয়েছে। প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পড়াশুনো থেকে কর্মক্ষেত্র- সর্বত্রই ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। লকডাউনের কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহার ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
যত ডিজিটাল এবিলিটির বিকাশ ঘটেছে, ততই সর্বব্যাপী হয়ে উঠেছে কানেক্টিভিটি। ভারতীয় অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে এই প্রযুক্তি। যা বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশীয় ডিজিটাল পরিকাঠামো এমএসএমই সেক্টরে উন্নতি, বিভিন্ন স্টার্ট আপকে প্রভাবিত করা এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সবমিলিয়ে ইন্টারনেট আর মোবাইল প্রযুক্তির এই ব্যবহার আমাদের জীবনে যে কতটা বদল এনেছে সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে এই ডিজিটাল উত্থান সাধারণ মানুষের জন্য নতুন দিশা দেখায়। প্রশস্ত হয় সাফল্যের রাস্তাটা। আর এই মাইলফলকের সাথেই ডিজিটালভাবে উন্নত দেশ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে ভারত।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ