Trending
দিনের থেকেও ভয়ঙ্কর রাতের আফগানিস্তান। দেশের বিভিন্ন প্রদেশ এখনো থাকে রাতের অন্ধকারে ডুবে। অন্ধকারে ডুবে থাকার দেশকে আলোর পথ দেখাতে বন্ধুর মত পাশে দাঁড়ায় ভারত। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ভারত ধীরে ধীরে সাজিয়ে তোলে আফগানিস্তানের প্রচলিত ও অপ্রচলিত বিদ্যুৎ পরিকাঠামোকে।
কাবুল বাদে দেশের অধিকাংশ প্রদেশ যখন রাতের অন্ধকারে ডুবে থাকছে ঠিক তখন ভারত আফগান যৌথ চুক্তিকে সম্মান জানিয়ে আফগানি মাটিতে ভারত গড়ে তোলে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো। বিদ্যুৎখাতে ভারত লগ্নি করে হাজার হাজার কোটি টাকা। তাই ধীরে ধীরে রাতের অন্ধকারে আলোর মুখ দেখতে শুরু করে গজনী, কান্দাহার সহ বিভিন্ন প্রদেশের ছোট ছোট জনপদগুলো।
পরিসংখ্যান বলছে, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিদ্যুতের অপ্রতুলতার দরুন বিদ্যুতের ব্যবহার থেকে বঞ্চিত থেকেছে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিদ্যুতের ভূমিকার কথা অনস্বীকার্য। পাহাড়ি রুক্ষ মাটিতে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো গড়ে তোলা ছিল ভারতের কাছে হিমালয়ান চ্যালেঞ্জ।
উজবেক বর্ডার দিয়ে হিন্দুকুশ পর্বতের উপর দিয়ে মাইলের পর মাইল খুঁটি পুঁতে বিদ্যুতের লাইন পাততে বহু ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের বলিদান হয়েছে আফগানিস্তানে। তারপরও কিন্তু থেমে থাকেনি বিদ্যুতায়নের কাজ।
ইন্দো আফগান বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে সালমা বাঁধে তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। যেখানে থেকে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হয়। এমনকি বাঁধ থেকে ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের জলের বন্দোবস্ত করে ভারত।
আগামী পাঁচ বছর আফগানিস্তানে ভারত পুনর্ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিল ১ লক্ষ মেগাওয়াট। যাতে বিনিয়োগের মাত্রা ছিল কমবেশি দু লক্ষ কোটি টাকা। আর সালমা বাঁধে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে ভারতের খরচ হয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার।
মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার হৃৎপিণ্ড আফগানিস্তান। অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে ভারতের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। খান আবদুল গফফর খান এর নাম। সেই ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে ভারত বন্ধুবেশে প্রকৃত বন্ধুর মতো দাঁড়িয়ে ছিল আফগানিস্তানের পুনঃনির্মাণে। সেই পুনঃনির্মাণে এখন চলছে লোডশেডিং।
ব্যুরো রিপোর্ট