Trending
টার্গেট ২০৩০। এবার ভারত হয়ে উঠবে ড্রোন তৈরির হাব। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি তো হবেই। একইসঙ্গে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ভারত পৌঁছে যেতে পারে শীর্ষে। এমনই ইঙ্গিত ধরা পড়ল কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কথায়। কিভাবে এবং কেন, সেটাই বলব আজকের প্রতিবেদনে। সঙ্গে এটাও বলব, বিজেপি সরকার কেন্দ্রে বসার পর থেকে কেন আলাদা করে প্রযুক্তির উপর জোর দিচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর থেকেই ভারতকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে শীর্ষে নিয়ে যাবার ভাবনাচিন্তা করেছিলেন। সেই উদ্যমে যে ভাটা পড়েনি, তা স্পষ্ট হল কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সাম্প্রতিক বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ড্রোন প্রযুক্তিকে এখন পাখির চোখ করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী বছরের মধ্যে ১ লক্ষ ড্রোন পাইলটের প্রয়োজন পড়বে। অর্থাৎ কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে দেশজুড়ে। উল্লেখ্য, ভারতে ড্রোন যে আলাদা একটা ইন্ডাস্ট্রি হয়ে উঠতে পারে, সেই বার্তা আগেই দিয়েছিলেন পিএম মোদী। চলতি বছরে মে মাসে ড্রোন মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী নিজেও একটি ড্রোন উড়িয়ে বলেন, ভারতকে ড্রোন প্রযুক্তির হাব গড়ে তুলতে কোনরকম আলস্যকে প্রশ্রয় দেবে না সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পেয়ে তারপর ড্রোনকে আলাদা একটা ইন্ডাস্ট্রির জায়গায় পৌঁছে দিতে শুরু হয় তোড়জোড়। তারই সাম্প্রতিক উদাহরণ দেখা গেল চেন্নাইতে। সেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে ড্রোন যাত্রা ২.০। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের অগ্নি কলেজ অফ টেকনোলজির গড়ুর এরোস্পেস থেকে সূচনা হয় ড্রোন যাত্রা ২.০-র। আর সেই যাত্রার শুভ সূচনা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সেখান থেকেই তিনি ইঙ্গিত দেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত ড্রোন প্রযুক্তিতে শক্তিশালী জায়গা তৈরি করে নেবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতে ড্রোন পাইলটের প্রয়োজন পড়বে ১ লক্ষ মতন। যারা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা মতন। এখানেই বলে রাখি, ড্রোন প্রযুক্তিকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। তার জন্য গড়ুর এরোস্পেস আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ড্রোন তৈরি করবে। দেশব্যাপী ৭৭৫টি জেলায় ড্রোন সংক্রান্ত ট্রেনিং চালানো জারি থাকবে। যার মাধ্যমে উপকৃত হবেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ।
নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্য ছাড়া আজ গোটা দেশেই বইছে গেরুয়া ঝড়। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর থেকেই ভারতকে একদিকে ডিজিটালি এবং অন্যদিকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে শীর্ষে পৌঁছে দেবার জন্য ময়দানে নেমে পড়ে। আর যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে ভারত টেক্কা দিতে চাইছে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে। আর সেটা হবে নাই বা কেন। বিশ্ব মানচিত্রে ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাইডেন এবং পুতিন। ভারতকে নিয়ে টানাটানির কারণ একটাই। সবদিক থেকেই ভারতের সঙ্গে আজ গ্লোবাল রিলেশন পৌঁছে গিয়েছে একেবারে উঁচুতে। আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না ভারত। ড্রোন প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে সামনের সারিতে এগিয়ে আসার এই লক্ষ্য ভারতকে গ্লোবাল মার্কেটে আলাদা কদরের জায়গা তৈরি করে দেবে বলেই মনে করছেন অনেকে। মনে করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু ড্রোনকে আলাদা করে ইন্ডাস্ট্রির জায়গা তৈরি করার জন্য কেন্দ্র খরচ করবে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে দেশে ড্রোন প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই শুরু হয়ে গিয়েছে ২০০-র বেশি স্টার্ট আপ। ফলে সব ঠিক থাকলে ড্রোন ইন্ডাস্ট্রি একদিকে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেবে আবার অন্যদিকে গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারত হয়ে উঠবে ড্রোন হাব। আপনি কি মনে করেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকার কারণেই কি ভারতে প্রযুক্তি শিল্প আলাদা কদর পাচ্ছে?
বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ