Daily

‘সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।’ সেই কোন যুগে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় লিখেছিলেন তাঁর লেখনীতে। ভারতবর্ষ। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যান না কেনো, একবার না একবার ভারতবর্ষকে কাছ থেকে দেখলে আর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। আমার কথা নয়, একথা অনেকেই বলেন। কিন্তু কেনো বলেন?
খুব কাছ থেকে দেখলে বোঝা যাবে, স্বর্গ থেকে নরক প্রায় সবই আছে এই দেশে। উত্তরে তিব্বত, দক্ষিণে সুবিস্তৃত জলরাশি, পশ্চিমে দিগন্ত বিস্তৃত মরুভূমি – ভূ- প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর এই দেশ। পর্যটন ব্যবসার মজবুত সামিয়ানা হতে পারে ভারত। অথচ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো তাপ-উত্তাপ নেই! পর্যটন ব্যবসা হচ্ছে এমন একটা ক্ষেত্র, যেখানে কম ইনভেস্টমেন্ট করলে, রিটার্ন পাওয়া যায় ব্যাপক। আর এটা জানার পরেও চুপটি করে মুখটি এঁটে বসে রয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যটন বিভাগ।
ভারত বিশ্বের পর্যটন রেঙ্কিং এ বিশ্বে ২৬তম। সত্যি ভাবতেও অবাক লাগে! দেশের জিডিপিতে সব থেকে বড় বৈদেশিক অর্থের জোয়ার আনে এই পর্যটন ব্যবসা। পাশাপাশি বিদেশের নাগরিকরা ভারতে ঘুরতে এলে বৈদেশিক অর্থের ভান্ডার নিয়ে আসে এই ব্যবসাই। শুধু তাই নয়। ভারতের সামাজিক অর্থনীতির ওপর দারুন প্রভাব ফেলে এই ব্যবসা। পর্যটকরা যে অঞ্চলে ঘুরতে আসেন, সেই অঞ্চলের মানুষরা নিজেদের জীবন নির্বাহ করতে পারেন এর উপর নির্ভর করেই।
ভারতের এই অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাঁড়ার থাকা সত্বেও, তা শুধু সঠিক ভাবে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়ায় আজ ভারতের পর্যটন শিল্প পর্যাপ্ত ফুয়েল পাচ্ছে না।
ব্যুরো রিপোর্ট