Bangladesh
ভারতের শিয়রে কি তাহলে বিপদ? আর বিপদ বুঝেই কি এবার তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা? তিস্তা প্রকল্পে এবার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে দিল ভারত। বাংলাদেশের তিস্তায় ড্রেজিং এবং ব্যারাজ নির্মাণে যে বিপুল খরচ হবে, সেখানেই টাকা ঢালবে ভারত সরকার। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন ভারতের বিদেশসচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রা। আর সেখান থেকেই উঠে আসছে আরেকটি তথ্য। জানতে পারা যাচ্ছে, জুনের শেষের দিকে অথবা জুলাই মাসের শুরুর দিকেই নয়া দিল্লি সফর করতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মনে করা হচ্ছে, তিস্তায় যে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে, সেই নিয়েই গ্রিন সিগন্যাল মিলে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে ভারত এমন তড়িঘড়ি তিস্তা প্রকল্প করার জন্য উঠেপড়ে লাগল কেন?
জানুয়ারি মাসেই নতুন সরকার গঠন করে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর শপথ নেবার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ঢাকার সঙ্গে কথা হয় বেজিং-এর। ঢাকাতে দেখা করেন চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠক হয় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে। আর সেখানেই তিস্তার প্রসঙ্গ উঠে আসে। কিন্তু তিস্তা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। সেখানে তৃতীয় দেশ হিসেবে চিন কেন নাকটি গলাতে যাবে? সেটা একেবারেই পছন্দ করে নি নয়া দিল্লি। বরং কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করে। এমনিতেই শিলিগুড়ির চিকেন নেক নিয়ে ভারত বেশ চিন্তায় রয়েছে। রয়েছে সদা সতর্ক। এরপর যদি তিস্তা নিয়ে চিন কাটাছেড়া করতে শুরু করে তাহলে সেটা নয়া দিল্লির উদ্বেগ আরও বাড়াবে বৈ কমাবে না। এরপর অবশ্য বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মামুদ ভারত সফর করেন। তখনই তিনি বলেছেন যে, তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এই প্রকল্পে টাকা আর টেকনোলজি দিয়ে সাহায্য করলে কোনরকম সমস্যা থাকবে না।
উল্লেখ্য, তিস্তার জলবন্টন প্রকল্প নিয়ে যখন ভারতের থেকে আশার আলো ক্রমেই নিভে যেতে দেখছিলেন শেখ হাসিনা তখন তিনি সটান চিঠি পাঠান বেজিং-এ- জিনলিংকে। সেই সময় চিন একটি সমীক্ষা চালায়। তারপর সেই প্রকল্পের একটা খসড়া জমা দেয়। জানা যাচ্ছে, ভারত সেই খসড়া রুপায়নেই সবুজ সিগন্যাল দিতে চলেছে। এরপরেই জানা যায় যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়ত আসতে পারেন ভারত সফরে। তবে আসবেন কবে? জানা যাচ্ছে, আমাদের এখানে মানে ভারতে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। সেটা মিটে যাবার নতুন সরকার দায়িত্বে আসবে। তারপরেই হয়ত শেখ হাসিনা সফর করবেন নয়া দিল্লি।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ