Story
অনেকে বলেন গুজবে কান দেবেন না। আর গুজবে কান দিলে কি হয় তা অনেকেই জানেন না।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত গুজবে কান দিয়ে নেমে পড়লাম গোবরডাঙ্গা স্টেশনে।
স্টেশন থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে পাঁচপোতা বাজারকে পাশে রেখে চোখে পড়ল বিরাট অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ। আর এই বিরাট জলাশয়কে ৩৬৫ দিন আশ্রয় করে বেঁচে আছেন এখানকার কয়েক হাজার পরিবার।
বড় জলাশয়ে বড় মাছ থাকবে সে তো স্বাভাবিক। বড় মাছের পাশাপাশি অসংখ্য ছোট মাছও রয়েছে এখানকার জলাশয়ে। রয়েছে ইকো-ট্যুরিজমের অভূতপূর্ব সম্ভাবনা। স্থানীয় মাঝিদের থেকে নৌকো ভাড়া করে বেরিয়ে পড়লেই হল। চোখে পড়বে বেরির অসম্ভব সুন্দর রূপ।
এ তো গেল নয় দিনের বেলার কথা। কিন্তু রাতের বেরি বাওরে যদি আপনি নৌকা সফর করেন তা চিরদিন রয়ে যাবে আপনার হৃদয়ের অন্তঃস্থলে। চাঁদনী রাত, চিকন কাকাদের ভাটিয়ালি গান, কুলুকুলু বাতাস আর জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ সেইসঙ্গে মাথার উপর তারা ভরা রাতের অনন্ত আকাশ। আপনার মুখ থেকে অনবদ্য ছাড়া আর অন্য কোন শব্দই বেরোবে না।
পাশেই গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ছোট হলেও বেশ ভাল মানের ইকো কটেজ । কটেজে বুকিং সেরে দেশি মুরগির ঝোল আর চুনো মাছের ঝাল খেয়ে নৌকোয় উঠে পড়লে আর পায় কে?
অফুরন্ত অক্সিজেনযুক্ত বাতাস আপনার মন ভালো করবে একশো শতাংশ। একথা হলফ করে বলাই যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সরকারের কাছে একটাই দাবি, পর্যটন মানচিত্রে জায়গা পাক পাঁচপোতা বেরি। পরিবেশবান্ধব পর্যটনের নতুন গন্তব্য হোক পাঁচপোতা। আর পর্যটন মানচিত্রে এখানকার বাওর জায়গা পেলে গড়ে উঠবে অর্থনীতির নতুন চালিকাশক্তি।
সৌমেন ভট্টাচার্য, পাঁচপোতা।