Market

আগামী ১৮ই জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। প্রকাশকরা সারা বছর উদ্গ্রীব হয়ে বসে থাকেন এই বইমেলাতে একটু জায়গা পাওয়ার জন্য। কেউ পান আবার কেউ পাননা। যারা পাননা তাদের কথা চিন্তা করেই এই বছর স্টল সংখ্যা গতবছরের তুলনায় প্রায় ১০% বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গিল্ড।
গত বছর নতুন নতুন প্রকাশকদের উৎসাহ দেখে বইমেলাতে তাদের জন্য ৫০ স্কয়ার ফুটের ছোটো স্টলের ব্যবস্থা করেছিল গিল্ড। ১০০ বর্গফুটের একটি স্টলকে অর্ধেক করে দুটি স্টলের ব্যবস্থা করেছিলেন তারা। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই বছর আগের বারের তুলনায় আরও বেশি সংখ্যক নতুন প্রকাশক মেলাতে স্টল দিতে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন। গিল্ডের সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে মহাশয় রবিবার জানিয়েছেন যে গত বছর যারা মাত্র ৫০ বর্গফুটের স্টল দিয়েছিলেন তাদের বই বিক্রি ভাল হওয়ায় তারা এবারে আর একটু বড় স্টল দিতে চান। আবার একইসঙ্গে এইবছর অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন নতুন প্রকাশক বইমেলায় স্টল দিতে আগ্রহী। তাই এই বছর মেলাতে স্টল সংখ্যা বাড়াচ্ছে গিল্ড। এই বছর স্টল সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে যা গত বছর ছিল প্রায় ৯০০। প্রথম বারের মত স্টল সংখ্যা ১০০০ ছাপিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদীব চট্টোপাধ্যায়। শুধু নতুন প্রকাশকদের জায়গাই নয়, বইমেলাতে এই বছর লিটল ম্যাগাজিনের টেবিলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
এই বছরও সল্টলেকের করুণাময়ীতেই বইমেলা হতে চলেছে। তার মানে মাঠের জায়গা তো একই থাকছে। তাহলে স্টল কিভাবে বাড়ানো হবে এই প্রশ্ন তো স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। গিল্ডের কর্তারা জানিয়েছেন যে কিকরে সব রকম নিয়ম মেনে স্টলের সংখ্যা বাড়ানো যায় সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বইমেলা মাঠে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গেছে। গত বছর যেখানে ফুড কোর্ট ছিল তার আশেপাশেও কিছু নতুন স্টল বসানো যায় কিনা তাও দেখা হচ্ছে।
আগের বছর প্রায় ২৬ লক্ষ বইপ্রেমীর ভিড় হয়েছিল মেলাতে এবং বিক্রি হয়েছিল প্রায় ২৫ কোটি টাকার বই। এই বছর স্টল সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এই টাকার অঙ্ক যে আরও বৃদ্ধি পাবে সেই নিয়ে ভীষণ আশাবাদী বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ