Daily
সামনে স্বাধীনতার ৭৫ বছর। এক আধটা নয় দেখতে দেখতে ৭৪ বছর পার হয়ে গেল। তবুও আর্থিক হাল ঠিক হলো না এখনো অধিকাংশ ভারতবাসীর। দারিদ্রতা, অনাহার আর চিকিৎসার অভাব ও বেকারত্ব এখনো নিত্যসঙ্গী এই ভারতের বুকে। তবুও দেখতে দেখতে পার হয়ে যাবে সামনের আগস্ট মাসে স্বাধীনতার ৭৪ বছর।
করোনা ও করোনা পরবর্তী অর্থনীতির গতিপথ এক চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন দেশের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদরা। স্বাধীন ভারতে করোনা পরবর্তী এই আর্থিক বিপর্যয় সময়ের আর্কাইভে বিরলতম হিসেবেই রয়ে যাবে।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় তুলে ধরে এমনই হতাশার চিত্র। পরিসংখ্যানের বিচারে জুলাই ২০২১ সালে ভারতে বেকারত্বের হার ৭.৩ শতাংশ হলেও বাস্তব চিত্রটা কিন্তু অন্য কথা বলছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
এমনকি ইউনাইটেড নেশনস তাদের পরিসংখ্যানে জানাচ্ছে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১.২ বিলিয়ন মানুষ যাদের দৈনিক আয় ১ ডলার এর থেকেও কম। এই ভারতে এখনো ২৩ কোটিরও বেশি মানুষ আছেন যাদের প্রতিদিন মাথাপিছু আয় ১৫০ টাকার কম। আর ১৯৫১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের গড় পরিমাণ সর্বকালীন কম হয়ে হয়েছে ১৮.৯ শতাংশ।
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে সংকোচন যে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ তো নয় গেল করোনাকালীন পরিস্থিতির কথা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে একই সময় স্বাধীন হয়েছে চিন। সেই চিন আজ অর্থ শক্তিতে বলিয়ান হয়ে গোটা বিশ্বকে চোখ রাঙাচ্ছে। এমনকি ভারতের অনেক পরে স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশেও মাথাপিছু আয় ভারতের মাথাপিছু আয়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি। অথচ এই ভারতেই প্রতিমাসে সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে মিলিনিয়ারদের।
একদিকে দারিদ্র, বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব, রান্নার গ্যাস সহ পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি আর আরেক দিকে দেশে ক্রমবর্ধমান মিলিনিয়ারদের ক্রমবর্ধমান তালিকাটা।
কোন পথে যাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি? কি করবেন সংখ্যাগরিষ্ঠ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা অধিকাংশ মানুষ? কিভাবে হবে ভারতের আম আদমির জীবন অর্থবহ?
অঙ্কিত মুখার্জি, বিজনেস প্রাইম নিউজ।