Daily

একদিকে মহামারির প্রকোপ আরেকদিকে প্রকৃতির রোষ দুয়ের প্রভাবে নাস্তানাবুদ সাধারন মানুষ। করোনা কালেই একে একে আয়লা, ফনি, ইয়াশ এর মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেড়ে নিয়েছে মাথার ছাদ থেকে অন্ন। ঠিক সেইভাবেই ইয়াশের প্রকোপে দীঘা,তাজপুর,মন্দারমনি সহ সমুদ্র তীরবর্ত্তী রামনগর১, রামনগর ২, কাঁথি ১, কাঁথি ২, কাঁথি ৩ সমুদ্র তীরবর্তী ব্লক সহ নন্দীগ্রাম ও খেঁজুরী ব্লক এলাকা ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। হয়। বিশেষকরে সমুদ্রের নোনা জল কৃষিক্ষেতে প্রবেশ করায় চাষের ক্ষেত্রে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হয় সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বহু কৃষককে। তাই রাজ্যসরকারের কৃষিদপ্তর এই সমস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষে ” লুনা সুবর্ণ” প্রজাতির ধানের বীজতলা তৈরী করে এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলিতে। কমিউনিটি নার্সারী বেড তৈরী করে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রোপন উপযোগী ধানগাছের চারা। একজন কৃষককে সর্বাধিক ১ বিঘা চাষের উপযোগী চারা তুলে দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে ধান চারা বিলি করায় জেলায় প্রায় ১০ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন। তবে সম্পর্ণ বিনামূল্যেই কৃষকদের তুলে দেওয়া হয় এই ধানের চারাগাছ। সম্প্রতি যার আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের কৃষিদপ্তরের উদ্যোগে। এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০ জনের হাতে ধানের চারা তুলে দেওয়া হয় মজিলাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হুরিপুর গ্রামে। এদিন জেলা কৃষি আধিকারীকদের উপস্থিতিতে তুলে দেওয়া হয় নোনা সহনশীল জাতের ধানের চারা। এদিন ধানের চারা তুলে দেন যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা), পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ড. মৃনাল কান্তি বেরা, অপর কৃষি অধিকর্তা( তথ্য) নারায়ন চন্দ্র মন্ডল,কাঁথি ১ ব্লকের সহ কৃষিঅধিকর্তা ড.প্রসেনজিৎ জানা সহ বিশিষ্টজনেরা। ইয়াস বিদ্ধস্ত কৃষকেরা কৃষিদপ্তরের এই অভিনব ব্যবস্থাপনাকে রীতিমতো সাধুবাদ জানিয়েছেন।
প্রসূন ব্যানার্জি, হলদিয়া