Daily

শহরে বেকারত্বের গ্রাফ সামান্য নিচের দিকে থাকলেও, গ্রামে বেকারত্বের থাবা আবারও চওড়া হচ্ছে। যা স্পষ্ট ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে দেশের কর্মোন্নয়নের মানচিত্রে। সিএমআইই বা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়া ইকোনমির তথ্য বলছে, গেল মাসে দেশে বেকারত্ব ফের পৌঁছে গিয়েছে ৭.৭৭ শতাংশে। শহরে সেই অঙ্কটা তেমন আশঙ্কার না-হলেও গ্রামের জন্য তো বটেই। কারণ, গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব ফের পৌঁছে গেল ৮.০৪ শতাংশে। বেকারত্বের এই অঙ্কটাই কার্যত চিন্তায় ফেলে দিল অর্থনীতিবিদদের।
তাঁরা মনে করছেন, বেকারত্বের হার ৭ শতাংশের উপর থাকা মানে সেটা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। কিন্তু কেন কেন্দ্রীয় সরকার বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে পারছে না? তার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, দেশে এই মুহূর্তে কোন নতুন বড় শিল্প নেই। ফলে কর্মসংস্থানের অভাব সেখানে রয়ে গেছেই। এদিকে গ্রামাঞ্চলে বর্ষার ঘাটতি থাকায় সেভাবে গ্রামের মানুষরা কৃষিকাজ থেকে আয়ের মুখ তেমন একটা দেখতে পাননি। আবার নতুন করে গ্রামে তৈরি হয়নি কোনরকম কাজ। ফলে, করোনার ধাক্কায় যে সকল মানুষরা শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়েছিলেন, আজ তাঁরা কর্মসংস্থানের অভাবে ভুগছেন।
কোন কোন অর্থনীতিবিদ আবার এর কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন, মূল্যবৃদ্ধিকে। এদিকে সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বেড়েছে ঋণের খরচ। সবমিলিয়ে দেশের ইকোনমিক গ্রোথ আটকে গেছে কিছুটা। আবার উৎপাদনে রয়েছে ঘাটতি। নতুন করে কোম্পানিগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া তেমনভাবে হচ্ছে না। বরং উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় বহু সংস্থাই এখন কর্মী ছাঁটাই করছে। ফলে সবমিলিয়ে দেশে কাজের ক্ষেত্র ভালোরকম ধাক্কা খেয়েছে। অনেকে অবশ্য, বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন মহিলা কর্মীর আশঙ্কাজনক সংখ্যা হ্রাসকে। এদিকে শহরের অবস্থাও তথৈবচ। শহরাঞ্চলে নতুন করে কোন কর্মসংস্থান তৈরি না-হওয়ার জন্য শহুরে যুবকদের মধ্যেও কাজ করছে হতাশা। সবমিলিয়ে গোটা দেশ জুড়েই এখন কর্মসংস্থানের অভাব স্পষ্ট আর সেটাই আরেকবার বেকারত্বের হার বৃদ্ধিতে অনুঘটকের কাজ করল।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ