Market
একটা সময় স্লোগান ছিল, কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। কৃষিপ্রধান দেশে অতিমারির ধাক্কায় যখন দেশের শিল্পক্ষেত্রে লেগেছে খরা তখন শস্যে এসেছে জোয়ার। তাই কৃষিই এখন ধীরে ধীরে ভারতে অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে। সূত্রের খবর, খাদ্যশস্য রফতানি করে মোটা অঙ্ক ঢুকল রাজকোষে। যা ছয় বছরে সর্বোচ্চ।
অতিমারি সংকটেও শস্য রফতানি বেড়ে হয়েছে ১৯ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তুলনায় রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ শতাংশ।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে ধান। বিদেশে পাঠানো হয়েছে প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন নন-বাসমতি চাল এবং ৪.৬ মিলিয়ন টন বাসমতি চাল।
রেকর্ড পরিমাণ রফতানি হয়েছে গমের। ২.৬ মিলিয়ন টন গম রফতানি করা হয়েছে বিদেশে। ছ’বছরে যা সর্বোচ্চ।
কিন্তু একদিকে যখন একের পর এক ক্ষতির ধাক্কা খেয়ে রীতিমত হাল ছেড়েছে অন্যান্য ক্ষেত্র, তখন কৃষিজ পণ্য দেশের অর্থনীতি ধরে থাকল কিভাবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে,
প্রথমত, ধান এবং গমের বিপুল উৎপাদন হয়েছে এই বছর।
দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত থেকে খাদ্যশস্য পাওয়া গেছে অনেকটা কমে।
বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কল্যাণ যোজনার দরুণ কৃষকদের মধ্যে ব্যপকহারে দানা শস্য বন্টন করা হয়েছে। ফলে বাজারে দাম কমায় আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে কোন সমস্যা হয়নি।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং বিহার থেকে রফতানি করা হয়েছে খাদ্যশস্যের অধিকাংশ। এই অর্থবর্ষে যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কৃষিমন্ত্রক।
ব্যুরো রিপোর্ট