Market
অতিমারি পরিস্থিতিতে মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন। প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট এবং ইমিউনিটি বুস্টারের চাহিদাও প্রতিদিন বেড়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিক্রিতে।
অল ইন্ডিয়া অরগানাইজেশন অফ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টসের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গত এক বছরে এই সকল সাপ্লিমেন্ট এবং ইমিউনিটি বুস্টারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে নজিরবিহীন। এক বছরে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট এবং ইমিউনিটি বুস্টারের বিক্রি পৌঁছেছে ১৫ হাজার কোটি টাকায়। একইসঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফেভিপাইরাভির, রেমডেসিভির এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিন।
গত বছর জুন থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফেভিপাইরাভিরের বিক্রি পৌঁছেছে ১,২২০ কোটি টাকায়। রেমডেসিভিরের বিক্রি ছুঁয়েছে ৮৩৩ কোটি টাকা এবং অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন বিক্রি হয়েছে ৯৯২ কোটি টাকার। এই বছরে যা ৩৮% বেশি। ডক্সিসাইক্লিনের বিক্রি বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ কোটিতে।
এগুলো ছাড়াও ভারতীয়দের মধ্যে ইমিউনিটি বুস্টিং ভিটামিন ড্রাগ এবং মিনারেল সাপ্লিমেন্টের বিক্রি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,৫৮৭ কোটি টাকায়, গত বছরের থেকে ২০% বেশি। শুধুমাত্র ভিটামিন ডি-এর বিক্রির অঙ্ক ছুঁয়েছে ৮১৭ কোটি টাকা। জিঙ্ক সাপ্লিমেন্টের বিক্রি তিনগুণ বেড়ে পৌঁছেছে ১৮৩ কোটি টাকায়। এবং ভিটামিন সি-এর বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৩৪০ কোটি টাকায়।
ব্যুরো রিপোর্ট