Daily

ডলারের প্রয়োজন পড়ছে না। তাতে বাইডেন সরকারের মুখ ভার হতে পারে। কিন্তু পুতিনের হাসি চওড়া হয়েছে। কারণ ভারত-রাশিয়ার মধ্যে যে বাণিজ্যের চাকা ঘুরছে, তার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে রুবল-রুপি। একই পথে হাঁটছে চিন। রাশিয়া এবং চিনের মধ্যেকার বাণিজ্যে ডলার জায়গা পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে রুবল-ইউয়ান।
প্রসঙ্গত এখানেই জানিয়ে রাখি, রাশিয়া এবং ভারতের পারস্পরিক বাণিজ্যে ডলারের ঠাঁই না-হওয়ার কারণে স্পষ্ট হচ্ছে যে ব্রিকসের অন্তর্গত অন্যান্য দেশগুলি এখন রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের রাস্তা অনেকটাই মসৃণ করে দিচ্ছে। ব্রিকসের অন্তর্গত দেশগুলি হল- ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে নামার পর রাশিয়া পশ্চিমি দেশগুলোর চোখে একরকম ভিলেন হয়ে ওঠে। আমেরিকা সহ পশ্চিমের বহু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার রাস্তায় হাঁটে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার নিরবিচ্ছিন্ন বাণিজ্য ভালো চোখে দেখছিল না ঐ দেশগুলো। কিন্তু ভারত নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
রাশিয়া মূলত গোটা বিশ্বে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। পশ্চিমি দেশগুলো যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে একজোট হয়, তখন ভারতের কাছে কম দামে তেল কেনার প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। আর সেটা লুফে নেয় ভারত। কারণ বিশ্ব বাজারে যখন তেলের দাম মহার্ঘ্য হয়ে উঠছিল তখন রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের এই মসৃণ বাণিজ্যের পথটা অমসৃণ করে দেবার জন্য ভারতের ওপর বাড়ছিল চাপ। শেষমেশ অবশ্য ভারত সেই নিষেধাজ্ঞাকে বহাল তবিয়তে কাটাতে পেরেছে। এই নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর সাফ জবাবও দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাওয়া দেশগুলিকে। জানা গিয়েছে, বিগত চার দশকে রাশিয়া এবং ভারতের পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ গুণ। মস্কো ভারতে যেমন বিপুল পরিমাণ তেল সরবরাহ করছে, তেমনই ভারত রাশিয়াকে রফতানি করছে প্রচুর পরিমাণ কৃষিপণ্য, ওষুধ এবং পোশাক। আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার যে এই পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক, সেটা অক্ষুণ্ণ থাকার কারণে ব্রিকস ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তাই পশ্চিমা দেশের নিষেধাজ্ঞা তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ