Market
একদিকে যখন দেশের প্রথম সারির ধনকুবের অদানি, অম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে, তখন অন্যদিকে দেশের প্রায় ১৯ কোটি মানুষের মাসিক রোজগার নেমেছে ৫ হাজার টাকার নিচে। চওড়া হচ্ছে আর্থিক বৈষম্য। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে অর্থনীতিবিদদের। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্ব বৈষম্য রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আর্থিক মন্দার দিকে হাঁটছে ভারত?
অতিমারি পরবর্তী সময় থেকেই চাকরির বাজারে নামে ভাটা। চওড়া হতে শুরু করে বেকারত্ব। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চলতি বছরের বিশ্ব বৈষম্য রিপোর্ট বলছে, দেশের ১০% মানুষ, যাদের আয় ভালোরকম তাঁদের হাতে রয়েছে সম্পদের ৫৭%। যাদের মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকার মতন, তাঁদের হাতেও রয়েছে এই সম্পদের একটা অংশ। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে দেশের ১৫% মানুষের রোজগার নেমেছে মাসে ৫ হাজার টাকার নিচে। এদিকে যাদের আয় সবথেকে বেশি, তাঁদের হাতে রয়েছে মোট সম্পদের ৫-৭%। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন ক্রমশ চওড়া হচ্ছে এই আর্থিক বৈষম্য? চাকরির বাজারের এমন বেহাল অবস্থা তৈরি হওয়ার কারণে কি আরও বেশি করে আর্থিক মন্দা দেখতে হবে ভারতকে?
২০২০ সাল অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যা ১৩৮ কোটি মতন। এর মধ্যে ২০১৯-২০ সালে সেলফ এমপ্লয়েডের সংখ্যা শতকরার বিচারে ছিল ৪৫.৭৮%। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তাঁরাই। বেকারত্বের দিক থেকে এই দিকটাই রয়েছে এগিয়ে। ইতিমধ্যেই দেশের অন্যতম অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু জানিয়েছিলেন, বেকারত্বের নিরিখে প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত। ফলে, সার্বিকদিক থেকেই আর্থিক দুশ্চিন্তা ক্রমশই চেপে বসছে ভারতের কপালে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর জন্য সরকার কি সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।