Agriculture news
কেনাফ, রোজেল, ফ্লাক্স, সানহেম, শিশাল, রেমি- দাঁড়ান দাঁড়ান! বুঝতে পারছেন না তো কীসের কথা বলছি? এগুলো হচ্ছে পাট এবং প্রাকৃতিক তন্তুর এক প্রজাতি। প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হয়েছে, তা বেশ বহুদিন হল। কিন্তু বর্জন করতে পেরেছেন কি? না তো! কেন পারেন নি? কারণ বিকল্প নেই। ভুল ধারণা। বিকল্প নেই এমনটা নয়। বিকল্প আছে, কিন্তু সেটার বিষয়ে কোন ইনফরমেশন জানা নেই। চিন্তা নেই। আজকের প্রতিবেদনটা শেষ অবধি দেখুন। কিছু না কিছু উপায় তো পাবেনই।
পাট এবং প্রাকৃতিক তন্তু বা ন্যাচারল ফাইবার- ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা যার আকাশছোঁয়া। যার বর্তমান নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিসার্চ করছে ক্রাইজাফ। পাট এবং প্রাকৃতিক তন্তুর উন্নত মানের ব্রিডারসীড উৎপাদনে ভারত তথা বিশ্বের একমাত্র ভরসা এই ক্রাইজাফ। বিশ্বজুড়ে পাট বীজের মোট চাহিদার ৯৫ শতাংশ পূরণ করে এই প্রতিষ্ঠানটি। আর এবার জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ানক আভাস দিল তারাও। শুধু সেই বার্তাই নয়। ভয়ানক পরিস্থিতিকে পাট এবং ন্যাচারাল ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে সামাল দেবে? সেই উপায়ও বাতলে দিল তারা। কেন ন্যাচারাল ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এত তোলপাড়? কারণ ভারতের আর্থিক উপার্জনের প্রায় ৬৫ শতাংশ নির্ভর করে এই ইন্ডাস্ট্রির উপর।
জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ানক আক্রোশে পড়ে কৃষিক্ষেত্র। আর পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে পাট ভিজিয়ে তা থেকে তন্তু নিষ্কাশন ঠিক কতটা গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছিল সে হিসেব সকলেরই জানা। সেই ক্ষত আজও বয়ে চলেছে ন্যাচারাল ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি। তবে এবার অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খটখটে রোদ- আবহাওয়া যত প্রতিকুলই হোক না কেন! বাঁচার উপায় রয়েছে।
এই সেই যন্ত্র, যা কিনা মরশুমের খামখেয়ালিপনাতেও পাশে থাকবে পাট চাষিদের। পাটকাঠি অক্ষত রেখেই তন্তু বাছাই করবে। আর সেই তন্তু হবে অনেকগুণ উন্নত। যা চলতি সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। আর ভারত যখন উন্নত দেশ হওয়ার প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে এবং প্রস্তুতিও নিচ্ছে, তখন এই যন্ত্র ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে ফাইবারগুলিকে আরো উন্নত করতে পারলে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকার রপ্তানি বাজার হাসিল করতে পারে ভারত।
আগামী সেশনেই এই মেশিন বাজারে উপলব্ধ হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই কথা সত্যি হলে অনেকটাই উপকৃত হবে চাষিভাইরা। জলবায়ু পরিবর্তনে যে ইন্ডাস্ট্রির গতি থমকে গিয়েছিল, মুখ ফেরাছহিলেন চাষিভাইরা- তারা উপার্জনের সঠিক একটা দিশা খুঁজে পাবেন। শক্তপক্ত হবে ভারতের ন্যাচারাল ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি।
সুব্রত সরকার
কোলকাতা